দ্রুত শক্তি বাড়াবে যেসব খাবার এর তালিকা ও ছবি

দ্রুত শক্তি বাড়াবে যেসব খাবার এর তালিকা। প্রিয় পাঠক আজ আপনাদেরকে জানাবো যেসব খাবার খেলে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি পায়। আমাদের মানব দেহে প্রতিনিয়ত কাজের চাপে আমাদের দুর্বলতা বা ক্লান্তি ভাব অনুভব হয়। আর এই ক্লান্তি বাপ দূর করতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু খাবার তালিকা প্রতিনিয়ত প্রয়োজন।

আমাদের মাঝে অনেকেই শারীরিকভাবে অনেক ক্লান্ত ভাব অনুভব করে। শারীরিকভাবে দুর্বলতা থাকলে আমাদের কাজের দিকেও মনোযোগ কমে যায়, যা আমাদের মনোভাবকে দুর্বল করে তোলে।

আমাদের মনে রাখা উচিত সারাদিন কাজের শেষে যেসব খাবারে আমাদের শরীরে শক্তি যোগাবে সেসব খাবার প্রতিনিয়ত খেতে হবে। খাবারগুলো সঠিক নিয়মে খেলে শরীরের শক্তি বাড়বে।

দ্রুত শক্তি বাড়াবে যেসব খাবার এর তালিকা ও ছবি-

দই:

নিম্নে দই এর উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া হলো এখান থেকে আপনারা দেখে নিতে পারেনঃ

Doi

আপনারা যারা অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব করছেন তাদের জন্য খাঁটি দুধের দই অত্যন্ত শক্তি বাড়ানোর জন্য উপকারী। এরমধ্যে সাধারনত দুই ধরনের প্রোটিন থাকে হোয়ে এবং কেসিন এই দুইটির মধ্যে প্রথমটি দ্রুত হজম শক্তিতে সহায়তা করে এবং দ্বিতীয়টি হজম শক্তিতে সময় নেয়। তাই প্রতিনিয়ত খাবারের তালিকায় এই খাবারটি আপনি রাখতে পারেন।

বাদাম:

আপনারা যারা বাদাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন এবং এর গুনাগুন উপকারিতা ও শক্তি বৃদ্ধি সম্পর্কে আমাদের এই পেজ থেকে জেনে নিতে পারেনঃ

গবেষণায় জানা গেছে, দ্রুত শক্তি বাড়ানোর জন্য বাদাম অত্যন্ত কার্যকরী একটি খাবার। এই বাদামের মধ্যে ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড আর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই বাদাম থেকে কার্বোহাইড্রেট আর ফাইবারও মেলে যথেষ্ট পরিমাণ। সাধারণত এই খাবারটি দ্রুত শক্তি বাড়ানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। তাই এই খাবারটি আপনি নিয়মিত রাখতে পারেন।

ডিম:

আমাদের দেহের জন্য ডিমের উপকারিতা নিম্নে দেখুনঃ

ডিম আমাদের একটি সুপরিচিত খাবার এর মধ্যে ভিটামিনের গুনাগুন অনেকটাই বেশি। সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিনের খাবারে অন্তত একটি ডিম রাখুন। ডিম হলো সবচেয়ে সহজলভ্য প্রোটিন। এতে থাকে প্রচুর অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ডিম খেলে সেখান থেকে আমাদের শরীর দ্রুত শক্তি সংগ্রহ করে নেয়। ডিম খেলে উপকার পাওয়া যায় বলে একসঙ্গে অনেকগুলো ডিম খেয়ে ফেলবেন না যেন! বরং কতটুকু খেলে তা আপনার জন্য ক্ষতিকর নয় তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন।

আপেল:

নিম্নে আপেল সম্পর্কে বিস্তারিত এর গুনাগুন ও উপকারিতা দেওয়া হলোঃ

ফলের মধ্যে আপেল একটি অন্যতম একটি বৃদ্ধির জন্য খাবার আইটেম। এ ফলটি নিয়মিত খেলে আমাদের দেহের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। একটি মাঝারি আকারের আপেলে ২৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে, থাকে ২০ গ্রাম চিনি আর ৫ গ্রামের মতো ফাইবার। এই ফাইবার আর প্রাকৃতিক সুগারই অনেকক্ষণ শক্তি ধরে রাখবেশরীরে। আপেলে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও মেলে।

কলা:

আমাদের পেইজে কলা সম্পর্কে কিছু তথ্য এবং এর পুষ্টিগুণ ও শক্তি বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

কলা সাধারণত আমাদের খাবার হজমের জন্য সহযোগিতা করে থাকে এতে আছে কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম আর ভিটামিন বি সিক্স। এগুলো খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। দুধ আর কলা দিয়ে মিল্কশেক তৈরি করে নিতে পারলে তো কথাই নেই, শরীরের পাশাপাশি ত্বকও ভালো থাকবে। নিয়মিত খাবার আইটেমে

ওটমিল:

ওটমিল এটি গম পরিবারের একটি শস্য। আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। নিম্নে এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

ওটস খেলে তা আপনাকে দীর্ঘ সময় চাঙ্গা থাকতে সাহায্য করবে। ওটসে বিটা-গ্লুকান নামের একটি সলিউবল ফাইবার থাকে যা রান্নার সময় পানির সঙ্গে মিশে গাঢ় একটি জেল তৈরি করে। এই জেল পাচনতন্ত্রে অনেকক্ষণ থাকে, ফলে পেট বেশিক্ষণ ভরা আছে বলে মনে হয়। তার সঙ্গে এর ভিটামিন আর খনিজ এনার্জি জোগায়।

মুরগির মাংস:

মাংসের ভেতরে মুরগির মাংস তুলনামূলক বেশি উপকারী। কারণ এটি খেলে নানারকম অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে কম। মুরগির মাংসে আছে উচ্চমানের প্রোটিন। প্রতি ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে পাওয়া যায় ৩০ গ্রাম প্রোটিন। এতে আরও আছে ভিটামিন বি ৬ ও নিয়াসিন। দ্রুত শক্তি যোগাতে তাই মুরগির মাংস বেশ কার্যকরী।

মাছ:

মাছ খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বেশ দ্রুত। সুস্থ থাকা এবং মাসল তৈরির জন্য মাছ খেতেই হবে। মাছে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা মাসল তৈরিতে সাহায্য করে। বিভিন্নরকম ছোট মাছ চোখ ভালো রাখতে কাজ করে। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছ আমাদের হাড়ের গঠনে কাজ করে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন নানারকম মাছ।

লাল চালের ভাত:

ভাত বাঙালির প্রধান খাদ্য তাই এই খাদ্যের মধ্যে আমাদের দেহের জন্য পুষ্টিগুণটা অনেক বেশি। লাল চালের ভাতে চালের পুষ্টিগুণের বেশিরভাগটাই সঞ্চিত থাকে। তার ফাইবার, প্রোটিন আর খনিজ খুব তাড়াতাড়ি প্রচুর শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। বাড়তি ফাইবারের কারণে নিয়ন্ত্রণে থাকে আপনার রক্তের শর্করার পরিমাণও।

সর্বশেষ কথাঃ

এই পেজ থেকে আপনি আরও বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানতে পারবেন। তাই আমাদের এই পেজের সাথে আপনি অ্যাকটিভ থাকতে পারেন। আশা করি, আপনার উপকারে আসবে।

আরো দেখুনঃ

Leave a Comment