২৬ শে মার্চ এর স্ট্যাটাস ও শুভেচ্ছা ২৬ শে মার্চ এর রচনা। সুপ্রিয় সুধী আজকে আমরা কথা বলবো ২৬ মার্চ এর স্ট্যাটাস ও শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে। ২৬ মার্চ এদিনটি হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য আনন্দময় একটি দিন। একটি বছর পর আবার পুনরায় দিনটির দেখা মিলল। এই দিনটি সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
শুরুতেই আমরা জানবো স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও আনন্দ নিয়ে। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর পাকিস্তানকে পরাজয় করে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে আমাদের বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুন পরিচয় পেয়েছে।
২৬ শে মার্চ এর স্ট্যাটাস
বাংলাদেশ স্বাধীনতার দেশ। ২৬ মার্চ এই দিনে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়। বীর শহীদদের ত্যাগের বিনিময় আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ। তাই আপনাদের জন্য আমাদের এই পেজে ২৬ মার্চ এর স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো। আশাকরি, মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়বেন সকলের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
> যে মাঠ থেকে এসেছিল স্বাধীনতার ডাক, সেই মাঠে আজ বসে নেশার হাট
(রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ)
> তোমার বুকের মধ্যে আমাকে লুকিয়ে রাখো, আমি এই মাঠ ছেড়ে, মাটির সান্নিধ্য ছেড়ে, আকাশের আতিয়তা ছেড়ে, চাই না কোথাও যেতে, কোথাও যেতে
(মহাদেব সাহা)
> এই স্বাধীনতা তখনই আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে,
যেদিন বাংলার কৃষক-মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুখের অবসান হবে।
(বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান)
> স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন।
(শামসুর রহমান)
> এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্য টিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয়ের অর্জন আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।
(বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান)
২৬ শে মার্চ এর শুভেচ্ছা
২৬ মার্চ নিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা নিম্নে দেয়া হল।
> কেবলমাত্র বোমা বা বন্দুক দিয়ে বিপ্লব আসেনা, বিপ্লবের তলোয়ার ধার পায় বৈপ্লবিক চিন্তাশক্তিতে।
(ভগৎ সিং)
> যেদিন বাংলার কৃষক-মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুখের অবসান হবে।
(বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান)
> স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন।
(শামসুর রহমান)
> স্বাধীনতা টাকা দিয়ে কেনা যায় না। দেশ তখনই স্বাধীন হয়, যখন লক্ষ-লক্ষ মানুষ নিজেদের প্রাণ বলিদান দেন। আজকের এই দিনে সেই সব সাহসী যোদ্ধাদের স্মরণ করুন এবং দেশবাসীকে ৫১ তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
> এমন এক সুন্দর ঐক্যবদ্ধ দেশের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত! দেশের এই বিশেষ দিনে সকলের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।
২৬ শে মার্চ এর রচনা
২৬ শে মার্চ রচনা নিয়ে যারা ইন্টারনেটে সার্চ করতে চান তাদের জন্য ইউনিক ভাবে উপস্থাপন করা হল। নিম্নে ২৬ শে মার্চ নিয়ে রচনা দেওয়া হল।
উপস্থাপনাঃ স্বাধীনতা দিবস জাতীয় জীবনের গৌরব ও তাৎপর্যময় দিন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ শে মার্চ। এ দিনটি জাতীয় জীবনের ঐতিহ্য, অগ্রগতি ও বিকাশের প্রতীক।
ঐতিহাসিক পটভূমিঃ বাংলাদেশ একসময় ভারতবর্ষের ছিল ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পাকিস্তানের অঙ্গ হয়। পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের কবলে পড়ে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা শোষিত ও বঞ্চিত হয়। সকল ধরনের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালিরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে। ভাষা আন্দোলন ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ধারা ১৯৭১ এর ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন-এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। ২৬ এ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনঃ এ উপলক্ষে কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। পত্রপত্রিকায় বিশেষ প্রকাশনা ও বেতার টিভির বিশেষ অনুষ্ঠানে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরা হয়।
উপসংহারঃ এ দিনের অনুষ্ঠানমালা আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে উজ্জীবিত করে।