আদার উপকারিতা ও গুণাবলী এবং খাওয়ার নিয়ম

আদার উপকারিতা ও গুণাবলী এবং খাওয়ার নিয়ম। সুপ্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সামনে কথা বলবো আদার উপকারিতা ও গুনাবলি নিয়ে। আদা আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও আদা ঠাণ্ডা, জ্বর, গলা ব্যাথা,মাথা ব্যাথা, হলে ঔষধ হিসেবে কাজ করে। আদার মধ্যে রয়েছে অ্যানটি-ব্যাক্টেরিয়াল যা আমাদের শরীরের রোগ-জীবানুকে ধ্বংস করে। এছাড়াও আদা আমরা চা এর সাথে সেবন করে থাকি। আদা মসলা হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।

আমাদের বাংলাদেশে অধিকাংশ জমিতে আদার চাষ হয়ে থাকে। আদা মসলার চাহিদা পূরণ করে থাকে। আদা সাধারনত পাহাড়ি জমিতে চাষ ভালো হয়। বাংলাদেশের কিছু জেলায় আদার চাষ বেশি করে থাকে যেমন,রাঙ্গামাটি, রংপুর, দিনাজপুর,টাঙ্গাইল। আর আদার চাহিদা পূর্ব থেকেই হয়ে আসছে আর ভবিষ্যতেও হয়ে থাকবে।  আদার উপকারিতা ও গুণাবলী নিম্নে দেওয়া হলো।

 

আদার উপকারিতা ও গুণাবলী

আদার কয়েকটি উপকারিতা ও গুণাবলী রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আপনারা যারা আদার উপকারিতা ও গুণাবলী নিয়ে ইন্টারনেট সার্চ করতেছেন,  তারা জানতে পারবেন এখান থেকে আদার উপকারিতা ও গুণাবলী সম্পর্কে। এবং অপরের কাছে আদার এই উপকার গুলি শেয়ার করতে পারেন। সকলে যেন তা থেকে উপকৃত হয়।

 

> ঠান্ডা ও জ্বর কমাতে আদার ব্যবহার 

 > ওজন কমাতে আদার ব্যবহার

 > ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আদা

 > ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা পেতে আদার ব্যবহার

 

ঠান্ডা ও জ্বর কমাতে আদার ব্যবহারঃ

আদা রান্নার কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি ঔষধ হিসেবে দারুন কাজ করে। সামান্য পরিমাণ আদা পানিতে পরিষ্কার করে থেতলে ভালোভাবে গরম পানির সাথে কিছুক্ষণ সময় ফুটিয়ে সামান্য লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করলে ঠাণ্ডা ও জ্বর এর জন্য অত্যন্ত উপকার হয়। এছাড়াও আদা চা বানানোর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।

 

ওজন কমাতে আদার ব্যবহারঃ 

অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারণে অনেকেই নিজেকে বিরক্ত বোধ মনে হয়। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে আদা আমাদের অতিরিক্ত মোটা হওয়া রোধ করে। কারন হচ্ছে আদা আমাদের ক্ষুধাকে নিবারণ করে।এতে করে আমাদের ফ্যাক্ট শরীরকে কমাতে সাহায্য করে। আর নিয়মিত আদা খেলে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

আদার উপকারিতা ও গুণাবলী

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আদাঃ 

কথায় আছে আদায় হচ্ছে ঔষধের দাদা। বাস্তবে তার প্রমাণ মিলেছে। মূলত আদা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। আদার মধ্যে রয়েছে গ্লুকোজের শোষণ ক্ষমতা যা ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে। তবে যারা ডায়াবেটিস রোগী আদা তাদেরকে নিয়মিত সেবন করে যেতে হবে। তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আদার সুফল পাওয়া যাবে।

ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা পেতে আদার ব্যবহারঃ 

 

ক্যান্সার অত্যন্ত মারাত্মক ব্যাধি যে ব্যাধি মানুষকে মৃত্যুর দিকে তিলেতিলে ঠেলে দেয়। গবেষণায় গবেষকরা জানিয়েছেন যে আদার রসে বায়ো একটিভ ফিনোলিক্স non-volatile পাজেন্ট উপাদান  জিঞ্জেরলস, প্যারাডলস, শোগায়োল থাকে এবং কি আদার রসে ক্যান্সারনাশক উপাদান রয়েছে। ধারনা করা যায় নিয়মিত আদা সেবনের ফলে এ রোগ আরোগ্য হয়।

 

আদার উপকারিতা ও গুণাবলী এবং খাওয়ার নিয়ম

 

উপরোক্ত সমস্যা যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে আদা আপনি নিয়মিত খাবার শিডুলে রাখতে পারেন। আদা সকাল গুম থেকে উঠে আপনি সেবন করতে পারেন। অথবা চা এর সাথে খেতে পারেন। আদা হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।আর আপনি আদা বেটে রস করে সিরাপ বানিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন। সারাদিনে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম আদা খেতে পারেন এতে করে আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

 

এছাড়াও আদা আমাদের আরো অনেক রোগের উপকারিতা করে যেমনঃ

 

> বমি বমিভাব দূর করে।

 > কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

 > রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে।

 > শরীর বাথ্যা দূর করে। 

 > গলা বাথ্যা দূর করে।

 > শরীরের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করে। 

 > নাক, কান,গলাজনিত রোগ দূর করে।  

 > গর্ভবতী মায়েদের জন্য আদা বেশ উপকারী।

 > কিডনির জটিলতায় আদা বেশ উপকার।

এছাড়াও আদা আমাদের অনেক উপকারে আসে। তবে সঠিক নিয়মে আদার ব্যবহার জানতে হবে।

 

শেষ কথাঃ 

আমরা অনেকেই জানি না আদার ব্যবহার। আদা আমাদের জন্য বিশেষ উপকারী। আমরা চেষ্টা করবো নিয়মিত আদা খেতে এতে করে আমাদের জন্য উপকার হবে। আশা করি সকলেই বুঝতে পেরেছেন।

 

আরো দেখুনঃ

Leave a Comment