শবে কদর শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস উক্তি ও হাদিস জানুন ২০২২

শবে কদর শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস উক্তি ও হাদিস জানুন ২০২২। সর্বপ্রথম আমরা শবে কদর সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই। শবে কদরের অর্থ হচ্ছে অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত। এছাড়াও এর আরো অর্থ রয়েছে ভাগ্য পরিমাণ ও তাকদীর নির্ধারণ করা। আমরা মুসলমান হিসেবে আমাদের জন্য এ রাতকে অতি গুরুত্বপূর্ণ রাত হিসেবে মনে করা হয়। এ রাতে আদম সন্তানদের ভাগ্য নির্ধারণ ও সম্মান বৃদ্ধি করা হয়।

কুরআনে বর্ণনা অনুসারে, এ রাত্রিকে আল্লাহতায়ালা মর্যাদা পূর্ণ করেছেন। এবং এই একটিমাত্র রাত্রিতে এবাদত করলে হাজার মাসের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হয়। একটি বছর ঘুরে এই মহিমান্বিত রাত লাইলাতুল কদর মুসলমানদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে। তাই শবে কদর এবং লাইলাতুল কদর নিয়ে আমরা উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন কবিতা নিম্নে আপনাদের জন্য উপস্থাপন করা হল।

শবে কদর শুভেচ্ছা

প্রিয় মুসলমান ভাইদের জন্য জানাই শবে কদরের শুভেচ্ছা। সামনে আসছে শবে কদর আর এই কদরের রাত্রি তে আমাদেরকে মহান রবের কাছে প্রার্থনা করে জীবনের সকল চাওয়া ও পাওয়া নিয়ে আরজি জানাতে হবে। তাই যারা শবে কদরের রাত্রির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন এবাদত করার জন্য তাদের সকলকে জানাই শবে কদরের শুভেচ্ছা।

> পূর্ণ এক বছর পরে আমাদের সামনে উপস্থিত হওয়ায় লাইলাতুল কদর শবে কদর। এটি মানবজাতির জন্য মঙ্গল কামনার জন্য সুবর্ণ একটি রাত্রি। 

(শবে কদরের শুভেচ্ছা)

> এসেছে শবে কদর মহান রবের কাছে প্রার্থনা করে আমাদের জন্য ক্ষমা চেয়ে আমাদের সামনের দিনগুলো কে মঙ্গল কামনা করার জন্য দুহাত তুলে অশ্রু ঝরানো। 

(শবে কদরের শুভেচ্ছা)

> হাজার মাসের চেয়েও এই রাত উত্তম। এ রাতে আমাদের অপরাধের অনুতপ্ত এবং আমাদের সকল কৃতকর্মের জন্য নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া। 

(শবে কদরের শুভেচ্ছা)

> এই রাত দোয়া কবুলের রাত, এই রাত ক্ষমার রাত, এড়াতে রিজিক বৃদ্ধির রাত, এই রাত হায়াত দীর্ঘায়িত করার রাত, শুধু রাত্রি জেগে মহান রবের কাছে চাইতে হবে।

(শবে কদরের শুভেচ্ছা)

> আমি আশা রাখি এই রাত্রে আমাদের দোয়া এবং মোনাজাত কবুল হবে। আমি আশা রাখি এই রাত্রে মহান রবের কাছে সিজদায় অবনত হয়ে দুই হাত প্রসারিত করিব তাহারি দরবারে। 

(শবে কদরের শুভেচ্ছা) 

শবে কদর স্ট্যাটাস

সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অনেকেই ফেসবুকে শবে কদর স্ট্যাটাস দিতে পছন্দ করি। তার আপনাদের কথা চিন্তা করে শবে কদর স্ট্যাটাস সুন্দর করে সাজিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কে শবে কদর স্ট্যাটাস আপনি জানাতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার এবং অপরের দ্বীনের দাওয়াত ও কল্যাণ সাধিত হতে পারে।

আমাদের এই পেজ থেকে শবে কদরের স্ট্যাটাস আপনি সংগ্রহ করে নিতে পারেন। আর এই স্ট্যাটাস ফেসবুক অথবা মেসেজ করে শেয়ার করতে পারেন। নিম্নে শবে কদর স্ট্যাটাস দেওয়া হল।

> লাইলাতুল কদরের ইবাদত হাজার মাস এবাদত করার চেয়েও উত্তম।

> রমজান মাসের শেষ দশকের মধ্যে যেকোনো বেজোড় রাত্রি তে তোমরা শবে কদর খোঁজ করিতে থাকো। 

> এই রাত্রিতে তোমরা কোরআন তেলাওয়াত নফল নামাজ জিকির বেশি বেশি করতে থাকো। 

> শবে কদর বিশেষভাবে দোয়া কবুল হয়ে থাকে, তাই এড়াতে বেশি করে দোয়া করা চাই। 

> হে রব তুমিতো ক্ষমাশীল শবে কদরের রাত্রি তে তুমি আমাদের সকলকে ক্ষমা করে দাও। 

 

শবে কদর উক্তি

আমরা অনেকেই শবে কদরের উক্তি নিয়ে সার্চ করতেছি কিন্তু সঠিক উক্তিগুলো পাচ্ছিনা। তাই আপনাদের মাঝে সঠিক উক্তি গুলি তুলে ধরা হলো। নিম্নে সঠিক উক্তি গুলো দেওয়া হল। আপনারা এখান থেকে উক্তি গুলো সংগ্রহ করতে পারেন।

****হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি কেউ লাইলাতুল কদর খুঁজতে চায় তবে সে যেন তা রমজনের শেষ দশ রাত্রিতে খোঁজ করে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৮২৩)

***যদি সারা বছরের মধ্যে কদরের রাত হয়, তবে তা পাওয়ার জন্য আমি সারা বছর রাতের নামাজে দাঁড়িয়ে থাকতাম। তাহলে আপনি কি মনে করেন মাত্র দশ রাতের জন্য কি করা উচিত? – ইবনুল কাইয়িম বলেন:

***যদি কেউ এ বছরের লাইল তুল কদর মিস করে, সে এক হাজার মাসের ইবাদাত মিস করে! আর কে জানে এটাই হতে পারে শেষ রমজান*** 

*****আয়েশা বর্ণনা করেছেন: রমজানের শেষ দশ দিন শুরু হওয়ার সাথে সাথে, নবী (সাঃ) তার কোমরের বেল্ট শক্ত করতেন (অর্থাৎ কঠোর পরিশ্রম করতেন) এবং সারা রাত নামাজ পড়তেন এবং তার পরিবারকে নামাজের জন্য জাগিয়ে রাখতেন। [বুখারী]

*****একদা হযরত উবায়দা (রা.) নবী করীম (সা.) কে লাইলাতুল কদরের রাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তখন নবীজী সেই সাহাবিকে বললেন রমজানের বেজোড় শেষের দশ দিনের রাতগুলোকে তালাশ করো। (বুখারি, হাদিস নং: ২০১৭)

শবে কদরের হাদিস

 শবে কদরের ব্যাপারে কয়েকটি হাদিস উপস্থাপন করা হল। 

* রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আয়েশা (রঃ) কে শবে কদরে বিশেষ ভাবে এই দোয়া পড়তে শিক্ষা দেন।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমিতো অত্যন্ত ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও। 

শবে কদরের নামাজ

শবে কদরের নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হল।

*শবে কদরে নফল নামাজ, তিলাওয়াত, জিকির ইত্যাদি যেকোনো এবাদত করা যায়। কত রাকাত নফল বা কি কি সুরা দিয়ে পড়তে হবে নির্দিষ্ট নেই-যত রাকাত ইচ্ছা যে ছড়া দিয়ে ইচ্ছা নামাজ পড়া যায়। শবে কদরের নামাজের বিশেষ কোনো নিয়ত নেই-এশার পর সুবহে সাদিক পর্যন্ত যে নফল পড়া হয় তাকে তাহাজ্জুদ বলে, তাই নফল বা তাহাজ্জুদের নিয়তে নামাজ পড়লে চলে।

* নফল নামাজ যেহেতু ঘরে পড়া উত্তম, তাই এ রাতেও ঘরে থেকে নফল নামাজ পড়লে উত্তম হবে। একান্তই ঘরে নামাজের পরিবেশ না থাকলে মসজিদে গিয়ে পড়তে পারেন। তবে বর্তমানে শবে বরাত ও শবে কদরের ইবাদত করার জন্য মসজিদে বেছে নেওয়া হয়। তবে নফল নামাজ ঘরে পড়া উত্তম। নামাজ পড়ার পাশাপাশি বেশি বেশি করে দোয়া করা।

 

সর্বশেষ কথাঃ

এই ছিল আমাদের শবে কদর নিয়ে পোস্ট। আশা করি সকলের কাছে ভালো লেগেছে। তাই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে সকলের কাছে শেয়ার করতে পারেন। সকলকে জানাই শবে কদরের শুভেচ্ছা। সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি। 

আরো দেখুনঃ

 

 

 

 

Leave a Comment