আমরা সাধারণত বুঝতে পারি কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগের সূচনা ঘটে। জলাতঙ্ক রোগ একটি মারাত্মক ব্যাধি যা এই লক্ষণটি দেখা দিলে মানুষ তিলে তিলে মুমূর্ষ অবস্থায় এসে পৌঁছায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধ করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
জলাতঙ্ক রোগটি হাইড্রোফোবিয়া নামেও আমরা চিনে থাকি। সাধারণত অতি উশৃংখল কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, এর বিষাক্ত কামড়ে সংক্রামিত হয়।
জলাতঙ্ক রোগের লক্ষন
আজ আমাদের পেজ থেকে জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি তা আমরা জানবো। জলাতঙ্ক রোগ হচ্ছে একটি মরণব্যাধি রোগ যা মানুষের দেহকে তিলে তিলে শেষ করে তোলে। এ রোগটি মানুষের মধ্যে বিষাক্ত প্রাণীর কামরের কারণে হয়, মূলত প্রাণীর বিষাক্ত লালা থেকে ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়। সাধারণত কুকুর, গরু, ঘোড়া, ছাগল, বাদর, শিয়াল, এদের দ্বারা জলাতঙ্ক রোগ ছড়াতে পারে।
সাধারণত জলাতঙ্ক রোগটি উন্মুক্ত প্রাণীর কামড় অথবা তাদের বিষাক্ত লালার মাধ্যমে হয়ে থাকে। একটি প্রাণী কোন ব্যক্তির ওপর ক্ষতস্থানের মধ্যে চারটে থাকে তাহলে এই জলাতঙ্ক ভাইরাসটি সংক্রমণ হতে পারে। এ সমস্ত ক্ষতস্থানের কারণে জলাতঙ্ক রোগটি অতি দ্রুত ছড়াতে পারে।
জলাতঙ্ক রোগের সাধারণ লক্ষণ গুলি হচ্ছে, জ্বর, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, ঘুম কম হওয়া, পুরো শরীর ব্যথায় নিমজ্জিত হওয়া, মূল কথা রোগের প্রত্যেকটা কাজে অসহ্যবোধ হওয়া।
জলাতঙ্ক রোগের টিকা আবিষ্কার
আমরা বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী লুই পাস্তর এর নাম সকলেই প্রায় শুনে থাকি, যিনি ১৯৮৫ সালে জলাতঙ্ক রোগের টিকাটি আবিষ্কার করেন। যিনি অজস্র পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের জীবনকে বাজিয়ে রেখে, অন্যের কথা চিন্তা করে এই মরণব্যাধি ভাইরাস নামের টিকাটি আবিষ্কার করেন।
আজ বিশ্ব লুই পাস্তর এর আবিষ্কার এর মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগটি নিরাময় সম্ভব হচ্ছে, এই টিকাটি আবিষ্কারের পূর্বে বহু সংখ্যক মানুষের প্রাণ বিন্যাস হয়েছে। এই অবস্থার চিন্তা করে লুই পাস্তুর টিকাটি আবিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ
জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ করার জন্য, টিকা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে। জলাতঙ্ক রোগের ব্যাপারে ডাক্তারকে সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টিকার নিয়মাবলী বলে দিবেন। আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে এর ভ্যাকসিন নেওয়া।
জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা
জলাতঙ্ক রোগ এর চিকিৎসা নিতে হলে আপনাকে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে, জলাতঙ্ক রোগ হলে
রাবিভ্যাক্স, রাবিপুর, রাবিক্স-ভিসি, ভেরোরাব, টিকার মাধ্যমে চিকিৎসা সমাধান নিতে পারেন। জলাতঙ্ক এমন একটি রোগ যা মানুষকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়, সাধারণত এই রোগের চিকিৎসা ভালো ডাক্তার এর কাছে গিয়ে সঠিক পরামর্শ নিয়ে ভ্যাকসিন গুলো সঠিক নিয়মে সঠিক সময় দিতে হবে, এর ফলে জলাতঙ্ক রোগটি প্রতিরোধ হতে পারে।
সর্বশেষ কথাঃ
সবাইকে জলাতঙ্ক রোগের থেকে নিরাপদ অবস্থায় থাকার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এই পেজ থেকে আপনি আরও বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানতে পারবেন। তাই আমাদের এই পেজের সাথে আপনি অ্যাকটিভ থাকতে পারেন। আশা করি, আপনার উপকারে আসবে।
আরো দেখুনঃ
- দ্রুত শক্তি বাড়াবে যেসব খাবার এর তালিকা ও ছবি
- ইমকন পিল খাওয়ার পদ্ধতি,দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, কোথায় পাবেন
- ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
- কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
- লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা কি কাজে লেবু ব্যবহার হয়
- খেজুরের উপকারিতা ও যেভাবে খাবেন জেনে নিন
- রসুনের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ এবং খাওয়ার নিয়ম
- টক দই এর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
- মধু খাওয়ার উপকারিতা ও ঔষধি গুন