আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো দোয়ায়ে কুনুত অতি সহজে আপনি কিভাবে মুখস্ত করতে পারবেন। আমরা মুসলমান মুসলমানের দায়িত্ব হচ্ছে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হুকুম যথাযথ আদায় করা। আমাদের উপর রব্বুল আলামিন নামাজ কে ফরজ করেছেন। আর নামাজের জন্য দোয়া পাঠ করতে হয়। আর আমাদের এই পেজে উপস্থাপন করা হয়েছে কিভাবে দোয়া গুলো আপনি শিখতে পারবেন।
দোয়ায়ে কুনুত মূলত পাঠ করা হয় বেতের নামাজে। বেতের নামাজ হচ্ছে এশারের ৪ রাকাত ফরজ শেষে ২ রাকাত সুন্নত পড়ার পর ৩ রাকাত নামাজকে বেতের বলে। এই দোয়ার অনেক ফজিলত রয়েছে। এই দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। নিম্নে দোয়ায়ে কুনুত অর্থ সহ দেয়া হলো।
দোয়া কুনুত ডাউনলোড পিডিএফ
আমরা অনেকেই আছি নামাজের দোয়া গুলো ইন্টারনেটে সার্চ করতেছি। তারা আমাদের এই পেজ থেকে নামাজের দোয়া গুলো সহজভাবে জানতে পারবেন। আমাদের কে সর্বপ্রথম জামাতের সহিত নামাজ আদায় করতে হবে। তাহলে আমরা দোয়া গুলো নামাজের মধ্যে পাঠ করতে পারবো। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) এর মতে জামা ‘আতের সহিত নামাজ পড়া ফরজে আইন। জামাত ব্যতীত নামাজ পরিপূর্ণ হয় না। ইমাম মালিক (রহঃ) ও সাফিয়ী (রহঃ) এর নিকট জামাত ফরজে কিফায়া।
হানাফি মাজহাবের ইমাম তাহাবী (রহঃ) ও এই মত পোষণ করিয়াছেন। হানাফী মাযহাবের অধিকাংশ বড় বড় ফকিহ যেমনঃ ইবনে হুমাম, হালাবী, সাহিবে বাহ্রুর বাহিক অভিজ্ঞ ইমামা গনের মতে জামা’আত ওয়াজিব। জামায়াতের সহিত নামাজের গুরুত্ব দিলে দোয়া গুলো সঠিকভাবে আমরা পাঠ করতে পারবো।
দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ পড়ুন
আরবির প্রতিও আমাদের গুরুত্ব নেই। আমরা মুসলিম হিসেবে অনেকেই কালেমায়ে ঠিকমতো পড়তে জানি না। আমাদের কে সর্বপ্রথম মুসলিম হিসেবে আরবি শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। তাসবীহ তাহলীল অনুযায়ী কোরআন পাঠ শিখতে হবে। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যিনি কোরআন শিখে এবং অপরকে শিখায়। সর্বপ্রথম আমাদেরকে শিখতে হবে। দোয়া কুনুত অর্থসহ নিম্নে দেয়া হলো।
দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাইনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নু’ মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু’ আলাইকা, ওয়া নুছনি’ আলাইকাল খাইরা, ওয়া নাশকুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু, মাই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না,বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস’আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফফারি মুলহিক্ক।
দোয়া কুনুত এর অর্থ
হে আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করতেছি। আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি। আপনার প্রতি ঈমান (দৃঢ় বিশ্বাস ) রাখিতেছি এবং আপনার উপর ভরসা করিতেছি। আপনার উত্তম প্রশংসা করিতেছি। ( চিরকাল ) আপনার শোকর গুজারি করিব, (কখনও ) আপনার না শোক্রী বা কুফরি কোরবো না। আপনার নাফরমানি যারা করে, তাহাদের সঙ্গে আমরা কোনো সংশ্রব রাখিব না। তাহাদের আমরা পরিত্যাগ করিয়া চলিব। হে আল্লাহ! আমরা এক মাত্র আপনারই ইবাদত করিব। ( অন্য কাহারও ইবাদত করিব না) একমাত্র আপনারই জন্য নামাজ পড়িব। একমাত্র আপনাকে সিজদা করিব। ( আপনি ব্যাতীত কাহারও জন্য নামাজ পড়িব না এবং অন্য কাহাকে ও সিজদা করিব না।) এবং আপনার আদেশ পালন ও তাবেদারীর জন্য ( সর্বদা ) দৃঢ়মনে প্রস্তুত আছি। ( সর্বদা ) আপনার রহমতের আশা এবং আপনার আযাবের ভয় হৃদয়ে পোষণ করি। নিচশয় আপনার আসল আযাব শুধু নাফরমানদের উপরই হইবে। ( তথাপি আমরা সেই আযাবের ভয়ে কম্পমান থাকি।
বেতের নামাজ ও দোয়া কুনুত
আমরা অনেকেই জানিনা বেতেরের নামাজে দোয়া কুনুত পড়া ওয়াজীব। এই দোয়া আমাদের পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তিরমিজি ও আবু দাউদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, মোহাম্মদ ( সাঃ) যখন কোনো মুসলমানের উপর বিপদ আসতো তখন এই দোয়া পাঠ করতেন। বেতরে তিন রাকাত নামাজ পড়তে হয়। দোয়ায়ে কুনুত পড়তে হয় ২ রা দুই রাকাত পড়ার পড়ে ৩য় রাকাতে রুকুর আগে।
শেষ কথাঃ
আমরা অনেকেই দোয়া কুনুত পড়তে পাড়িনা। তাদের জন্য এই পেজে অতি সহজ করে দোয়া কুনুত উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনি এখান থেকে শিখতে পারেন। আশা করি অনেক উপকার হবে।