বাচ্চাদের কবিতা সমূহ দেখুন

বাচ্চাদের কবিতা সমূহ দেখুন। প্রিয়কবিতা পাঠকগণ আজকে আপনাদের সামনে বাচ্চাদের কবিতা সমূহ নিয়ে হাজির হলাম। প্রত্যেক বাবা-মা চায় তার সন্তান একজন আদর্শ ছাত্র হিসেবে গড়ে উঠুক। তাই ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদেরকে আদর্শবান ছাত্র হওয়ার জন্য শিক্ষা প্রদান করতে হবে। বাচ্চাদেরকে আদর্শ শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের এই পেজ থেকে বাচ্চাদের জন্য সুন্দর সুন্দর কবিতা সমূহ দেখে নিতে পারেন। এখান থেকে আপনি কবিতাসমূহ সংগ্রহ করে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দিতে পারেন।

চলুন কথা না বাড়িয়ে নিম্নে কবিতাসমূহ দেখে নেয়া যাক।

বাচ্চাদের কবিতা সমূহ দেখুন

কাঠ বিড়ালি

-কাজী নজরুল ইসলাম

কাঠ বিড়ালী কাঠ বিড়ালী, 

পেয়ারা তুমি খাও?

গুড়-মুড়ি খাও?

দুধ-ভাত খাও?

বাতাবি লেবু খাও?

বিড়াল বাচ্চা, কুকুর ছানা, তাও? 

ছোঁচা তুমি!

তোমার সঙ্গে আড়ি আমার, যাও। 

 

নোটন নোটন পায়রা

-প্রচলিত

নোটন নোটন পায়রা গুলো

ঝোটন বেঁধেছে।

ও পাড়েতে ছেলে-মেয়ে

নাইতে নেমেছে।

দুই ধারে দুই রুই কাতলা

ভেসে উঠেছে, 

কে দেখেছে? কে দেখেছে?

দাদা দেখেছে।

দাদুর হাতে কলম ছিল,

ছুড়ে মেরেছে। 

উঃ বড্ড লেগেছে।

 

প্রভাতী

-কাজী নজরুল ইসলাম

ভোর হলো দোর খোল।

খুকু মণি উঠরে ।

ঐ ডাকে জুঁই শাখে

ফুল খুকি ছোটরে,

খুলি হাল তুলি পাল,

ঐ তরি চলল। 

এইবার এইবার

খুকু চোখ খুলল।

আলসে নয় সে,

উঠে রোজ সকালে।

রোজ তাই চাঁদ ভাই

টিপ দেয় কপালে। 

 

আয়রে আয় টিয়ে

-প্রচলিত

আয়রে আয় টিয়ে

নায়ে ভরা দিয়ে।

নাও নিয়ে গেল,বোয়াল মাছে,

তাই না দেখে ভোদড় নাচে।

ওরে ভোদোড় ফিরে চা

খোকার নাচন দেখে যা। 

 

আমাদের ছোট নদী

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে,

বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।

পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,

দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।

চিক চিক করে বালি, কোথা নাই কাদা,

একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা। 

 

পার্থনা

লোকজ ছড়া

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,

সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।

আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,

আমি যেন সেই কাজ করি ভাল মনে।

ভালো ছেলেদের সাথে মিশে করি খেলা,

পাঠের সময় যেন নাহি করি হেলা।

ঝগড়া না করি যেন কভু কারো সনে,

সকালে উঠিয়া এই বলি মনে মনে। 

 

কানা বগীর ছা

-খান মুহাম্মদ মইনুদ্দীন

ঐ দেখা যায় তাল গাছ

ঐ আমাদের গাঁ,

ঐ খানেতে বাস করে

কানা বগীর ছা।

ও বগি তুই খাস কি?

পানতা ভাত চাস কি?

পান্তা আমি খাই না? 

পুঁটি মাছ পাই না,

একটা যদি পাই

অমনি ধরে গাপুস গুপুস খাই। 

 

আইকম বাইকম

আইকম বাইকম তাড়াতাড়ি

যদু মাস্টার শ্বশুরবাড়ি

রেইন কাম ঝমাঝম

পা পিছলে আলুর দম। 

 

আয়রে পাখি

আয়রে পাখি লেজ ঝোলা,

খুকুকে নিয়ে কর খেলা।

খাবি দাবি কলকলাবি

খুকুকে মোর ঘুম পাড়াবি।

 

ঝুমকো জবা

ফররুখ আহমদ

ঝুমকো জবা কানের দুল,

উঠল ফুটে বনের ফুল।

সবুজপাতা ঘোমটা খোলে,

ঝুমকো জবা হাওয়ায় দোলে।

সেই দুলুনির তালে তালে,

মন উড়ে যায় ডালে ডালে। 

 

কমলা ফুলি

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

কমলা ফুলি কমলা ফুলি,

কমলা লেবুর ফুল।

কমলা ফুলির বিয়ে হবে,

কানে মোতির দুল।

কমলা ফুলির বিয়ে,

দেখতে যাবে, পরার খাবে,

চন্দনা আর টিয়ে।

কোথায় থাক কমলা ফুলি?

সিলেট আমার ঘর।

টিয়ে বলে,দেখতে যাব,

পাখাই দিয়ে ভর। 

 

বৃষ্টি পড়ে

লোকজ ছড়া

বৃষ্টি পড়ে টাপুর- টুপুর

নদে এলো বান।

শিব ঠাকুরের বিয়ে হল

তিন কন্যা দান।

এক কন্যা রাধেন বাড়েন,

এক কন্যা খান

এক কন্যা রাগ করে

বাপের বাড়ি যান।

বাপের বাড়িতে তেল-সিঁদুর,

আর মালীদের ফুল

এমন খোপা বেধে দেব

হাজার টাকা মূল।

 

কাজলা দিদি

বাঁশ বাগানের মাথার উপর

চাঁদ উঠেছে ওই,

মাগো আমার শোলক-বলা

কাজলা দিদি কই? 

পুকুর পাড়ে গাছের তলে

থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে,

ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না

একলা জেগে রই।

মাগো আমার শোলক-বলা

কাজলা দিদি কই? 

খোকন খোকন ডাক পাড়ি

খোকন খোকন ডাক পাড়ি,

খোকন মোদের কার বাড়ি?

আয়রে খোকন ঘরে আয়,

দুধ মাখা ভাত কাকে খায়। 

 

তোতা পাখি

আতা গাছে তোতা পাখি

ডালিম গাছে মৌ

এত ডাকি তবু কথা

কও না কেন বউ।

কইব কথা কি ছলে

কথা কইতে গা জ্বলে। 

 

তাতীর বাড়ী

প্রচলিত

তাঁতীর বাড়ী 

ব্যাঙের বাসা

কোলা ব্যাঙের ছা,

খায় দায় গান গায়

তাই-রে নাই-রে না।

 

খোকার রাগ

লোকজ ছড়া

কে মেরেছে কে বকেছে,

কে দিয়েছে গাল?

তাইতো খোকন রাগ করেছে,

ভাত খায়নি কাল। 

 

চাঁদ উঠেছে

চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে

কদম তলায় কে?

হাতি নাচছে ঘোড়া নাচছে

সোনামনির বিয়ে। 

শেষ কথাঃ

এই ছিল বাচ্চাদের জন্য কবিতা। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। কবিতাগুলো সকলকে পড়ার জন্য আমন্ত্রণ রইল। কবিতাগুলো সকলের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

Leave a Comment