পহেলা বৈশাখের রচনা সমূহ ২০২২

আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো পহেলা বৈশাখের রচনা সমূহ। আপনারা যারা পহেলা বৈশাখ নিয়ে রচনা ইন্টারনেটে সার্চ করতেছেন তারা আমাদের এই পেজ থেকে রচনা টি দেখতে পারেন।

পহেলা বৈশাখের রচনা সমূহ ২০২২।

essays-of-pohela-boishakh

পহেলা বৈশাখ

ভূমিকা : ঋতুর পরিক্রমায় চৈত্র অবসানে বিদায় নেয় পুরাতন বছর। বিবর্ণ, বিশীর্ণ, জীর্ণ অতীতকে পশ্চাতে ফেলে নতুন বছরের নতুন স্বপ্ন নিয়ে আসে পহেলা বৈশাখ। আসে নববর্ষের সমুজ্জ্বল শুভক্ষণ। বাঙালির আবহমান জীবনধারায় নববর্ষ এক বিশেষ তাৎপর্যময় দিন। জীর্ণ ক্লান্ত পুরাতনকে বিসর্জন দিয়ে নববর্ষ জীবনকে এক নতুন অধ্যায়ে উপনীত করে। উৎসবে আনন্দে মেতে ওঠে সারা দেশ।

পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষ : পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এই দিন থেকে নতুন বছরের শুরু। বাঙালি সমাজে এই দিনটি নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। পুরাতন বছরের ক্লান্তি, জড়তা, ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে এই দিনে বাঙালি জনগোষ্ঠী এক নতুন সম্ভাবনার স্বপ্নে উদ্বেলিত হয়। পহেলা বৈশাখের প্রথম আলোকে-সম্পাতে বেজে ওঠে নতুনের জয়গান। প্রকৃতির পালাবদলের পটভূমিতে এক নতুন চেতনার আবেগে সকলের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় :

‘এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপস নিশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক।

পুরাতনকে, ব্যর্থ অতীত আর দুঃখ গ্লানিকে ধুয়ে মুছে মানুষ চিরকাল নতুনের স্বপ্ন রচনা করে চলে। মানুষের এই চিরন্তন প্রত্যাশাকে জাগ্রত করে তোলে নববর্ষ।

দেশে দেশে নববর্ষ :

পৃথিবীর প্রায় সব জাতিই নানাভাবে নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। প্রাচীন সভ্যতার অধিকারী মিশরীয়, ফিনিশীয়, ইরানীয়রা বহুকাল পূর্ব থেকে নববর্ষ পালন করে আসছে। গ্রিক ও রোমকরা যীশু খ্রিস্টের জন্মের পাঁচশত বছর পূর্ব থেকে এ ধরনের উৎসব পালন করতো বলে জানা যায়। প্রাচীন আরবীয়রা ওকাজের মেলা’য় এবং প্রাচীন ভারতীয়রা ‘দোল পূর্ণিমা’র দিনে নববর্ষ উদযাপন করতো। খ্রিস্টান-জগতে পহেলা জানুয়ারি নববর্ষ পালিত হয়। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম জগতে নববর্ষ আসে মহরমের আশুরা থেকে। ইরানীয়দের নববর্ষ হচ্ছে ‘নওরোজ’। ইহুদিদের নববর্ষ হচ্ছে ‘রাশ হাসানা’। বস্তুত বাঙালি, ইংরেজ, ফরাসি, চীনা, জাপানি প্রত্যেকেই নিজ নিজ নববর্ষ উৎসব পালন করে থাকে। যে যেভাবেই এই উৎসব পালন করুক না কেন-এই নববর্ষের মূল চেতনা হচ্ছে পুরাতন বছরের গ্লানি ও ব্যর্থতাকে ভুলে জীবনকে আবার নতুন করে সাজানো।

পহেলা বৈশাখের রচনা সমূহ ২০২২ দেখুন

পৃথিবীর প্রতিটি জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে নববর্ষের উৎসব ও আনন্দ এমনিভাবে সংযুক্ত।

বাংলা নববর্ষের ইতিহাস:

ষোড়শ শতকে মোগল সম্রাট আকবরের আমল থেকে বাংলা নববর্ষের প্রবর্তন হয়। সমসাময়িক কালে বঙ্গদেশ ছিল মোগল সম্রাটের করদ রাজ্য অর্থাৎ খাজনা দাতা রাজ্য। খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য এই শুষ্ক মৌসুমকে বেছে নেয়া হয়। বাংলা সনের মূল স্রষ্টা ফতেহউল্লাহ সিরাজী। মোগল সম্রাট আকবর যেদিন সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন সেই দিনটিকে স্মরণীয় করে। রাখার জন্য বাংলা সন ও নববর্ষের প্রবর্তন করা হয়েছিল। সেই থেকে চাষাবাদ, খাজনা পরিশোধ, হিসাব-নিকাশ, হালখাতা, ভাবিধ নির্ধারণ প্রভৃতি বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে পালিত হয়ে আসছে।

নববর্ষের উৎসব :

নববর্ষ কেবল প্রাত্যহিকতার জীর্ণ জীবন থেকে মুক্তি আর নতুন সম্ভাবনার বার্তা নিয়েই আসে না- বাঙালির জীবনে নববর্ষ আসে নানা অনুষ্ঠান আর উৎসবের ডালা সাজিয়ে। পহেলা বৈশাখ বাংলার প্রতিটি ঘর মুখর হয়ে ওঠে নতুন আনন্দে, নতুন উদ্দীপনায় । প্রতিটি গৃহকোণ হয়ে ওঠে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। নতুন পোশাকে, নতুন শাড়ি-গহনায় সাজে অনেকেই। হালখাতা, পুণ্যাহ, বৈশাখী মেলায় মেতে ওঠে বাংলার গ্রাম-গঞ্জ-জনপদ।

হালখাতা:

‘হালখাতা নববর্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। এ দেশের বণিক-ব্যবসায়ী সমাজে সুপ্রাচীন কাল থেকেই হালখাতা প্রচলিত। এই দিনে দোকানী-ব্যবসায়ী তার দোকানপাট-ব্যবসা কেন্দ্র ধুয়ে মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পুরাতন বছরে লেনদেন লাভ-ক্ষতির হিসাব-নিকাশ মিটিয়ে নতুন বছরের হিসাব রাখার জন্য খোলেন হালখাতা। ব্যবসা কেনা-কাটার সঙ্গে কিলে নান কাজকর্মে জড়িত যারা তাদেরকে হালখাতার দিনে দই, চিড়া, মিষ্টান্ন ইত্যাদি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। ক্রেতা-বিক্রেতার পারস্পরিক সৌহার্দে হালখাতার দিনটি হয়ে ওঠে আন্তরিকতাপূর্ণ। এই দিনে বকেয়া পরিশোধের কোনো তাগাদা থাকে না। হালখাতার আপ্যায়ন সৌজন্যমূলক হলেও এই দিনে দোকানি কিংবা ব্যবসায়ীর অনেক বকেয়া পাওনা আদায় হয়। হালখাতার দিনে কেউ বাকির ঘরে নাম লেখাতে চায় না। নববর্ষের দিনে হালখাতার মধ্যে দিয়ে ব্যবসায়ী মহলে আবার নতুন উদ্যমে বেচা-বিক্রি শুরু হয়।

পুণ্যাহ :

বাংলা নববর্ষের সঙ্গে সংযুক্ত আরো একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান ‘পুণ্যাহ’। নববর্ষের দিনে জমিদার-তালুকদারদের কাছারিতে ‘পুণ্যাহ’ অনুষ্ঠিত হতো। ‘পুণ্যাহ’ শব্দের মৌলিক অর্থ পুণ্য কার্যাদি অনুষ্ঠানের পক্ষে জ্যোতিষ শাস্ত্রানুমোদিত প্রশস্ত দিন হলেও বাংলায় এর বিশেষ অর্থ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল জমিদার কর্তৃক প্রজা সাধারণের কাছ থেকে খাজনা আদায় করার প্রারম্ভিক অনুষ্ঠানসূচক দিন। এই দিনে প্রজারা নানা উপঢৌকনসহ খাজনা পরিশোধ করতে জমিদার মহলে উপস্থিত হতো। জমিদার প্রজাসাধারণকে পান সুপারি এবং মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করতেন। পুণ্যাহ উপলক্ষে কেবল জমিদারের খাজনাই আদায় হতো না- এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জমিদার প্রজার মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটতো। খাজনা আদায়ের পাশাপাশি এ সময় জমিদার প্রজার সুখ-দুঃখের খোঁজ-খবর নিতেন। জমিদার প্রথা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে পার্বত্য অঞ্চলে উপজাতীয় রাজাদের মধ্যে এখনও ‘পুণ্যাহ’ অনুষ্ঠান প্রচলিত আছে।

নববর্ষ ও বৈশাখী মেলা:

বাংলা নববর্ষের একটি অন্যতম আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান বৈশাখী মেলা। পহেলা বৈশাখ বাংলার গ্রাম-গঞ্জে বটেব। মূলে, নদীর কূলে বৈশাখী মেলা বসে। উৎসবমুখর বৈশাখী মেলা মূলত একটি সর্বজনীন লোকজ মেলা। প্রাণের আবেগ আর উইলে পড়া আনন্দে বৈশাখী মেলা প্রাঙ্গণে গ্রাম-বাংলার মানুষ এক অকৃত্রিম উৎসবের আনন্দ খুঁজে পায়। নাগরদোলা, সার্কাস, তাল-পাতৰ ভেঁপু, মাটির খেলনা, হাড়ি-পাতিল, কাঁচের চুড়ি, কারুপণ্য, মণ্ডা-মিঠাই, বাউল গান, লোকগীতি প্রভৃতির সমারোহ বৈশাখী মেলার এক চিরায়ত ঐতিহ্য। নানা রকম জিনিসপত্রের সমারোহে, নানা বয়সী মানুষের সমাবেশে নববর্ষের আনন্দময় রূপটি প্রত্যক্ষ করা যায় বৈশাখী মেলাতে। আধুনিক সভ্যতা ও ক্ষয়িষ্ণু অপসংস্কৃতির বিষাক্ত ছোবলে বৈশাখী মেলার ঐতিহ্য আজ অনেকটা স্লাদ হয়ে পড়েছে। তবুও বৈশাখী মেলা বাঙালির সংস্কৃতিকে ঐতিহ্যের এক চিরায়ত আনন্দ-উৎসব।

নগরজীবনে নববর্ষ :

নগরজীবনেও বাংলা নববর্ষ জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ও উৎসাহে উদযাপিত হয়। এ যেন বাংলার হি ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন। এ দেশের বড় বড় শহরগুলো নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ করে নেয়। উদ্যানে, লেকের ধারে, বৃহৎ বৃক্ষমূলে প্রত্যুষে নগরবাসীরা সমবেত হয় নববর্ষকে স্বাগত জানাতে। ছেলেরা পরিধান করে পাজামা-পাঞ্জাবি। মেয়েরা পরিধান করে লালপেড়ে সাদা শাড়ি-কপালে টিপ, হাতে বাহারি রঙের চুড়ি, খোঁপায় ফুল, গলায় ফুলের মালা। সবকিছু মিলিয়ে বাঙালি জীবনের এক অনিন্দ্য পটভূমি রচনা করে তারা। নানাবিধ লোক-উপকরণ নববর্ষের আয়োজনকে বর্ণাঢ্য করে তোলে। নৃত্য-গীত, রঙে-সঙে, পান্তাভাতের আয়োজনে নগরজীবনে এক মোহনীয় আনন্দে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়।

রাজধানীতে বর্ষবরণ:

পহেলা বৈশাখের শুভক্ষণে নতুন বছরকে বরণের আয়োজনে রাজধানী ঢাকা এক বর্ণাছা আনন্দ মেলায় পরিণত হয়। পহেলা বৈশাখের প্রথম আলোকপ্রভায় রমনা উদ্যানে ও এর আশে-পাশে সমবেত হয় হাজার হাজার মানুষ। নববর্ষকে স্বাগত জানাতে রমনা বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীদের কন্ঠ থেকে বারে পড়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শাশ্বত আগমনী গান- ‘এলো, হে বৈশাখ”। রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এক অনবদ্য ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বকুল তলার প্রভাতী অনুষ্ঠানেও স্বাগত জানানো হয় বাংলা নববর্ষকে।চারুকলার ছাত্র-ছাত্রীদের বর্ণাঢা ব্যাগিতে নাচে গানে উপস্থাপন করা হয় বাংলার চিরায়ত রূপকে। চারুশিল্পীদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মুগ্ধ করে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সকলকে। বাউল, গান, কবির লড়াই, কবিতা পাঠ, আলোচনা সভা, পুতুল নাচ, বায়স্কোপ, লোক সামগ্রীর পদরা প্রভৃতি রাজধানী ঢাকাতে বর্ষবরণের এক অপরিহার্য অঙ্গ। মাটির সানকিতে ইলিশ ভাজা আর লঙ্কা-পেঁয়াজ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া বাঙালি সংস্কৃতির এক উপভোগ্য নাগরিক আয়োজন। এটুকু ছাড়া বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য আয়োজন নিষ্প্রভ।

উপজাতীয় নৃগোষ্ঠীর বর্ষবরণ :

বাংলাদেশে বৃহৎ বাঙালি সমাজের পাশাপাশি রয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভিন্ন উপজাতীয় নৃগোষ্ঠী। এসব নৃগোষ্ঠী ভিন্ন ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী। এরাও তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুসারে বর্ষবরণ করে থাকে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পার্বত্য উপজাতীয় নৃগোষ্ঠী আনন্দমুখর পরিবেশে তাদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব বৈসাবি’ পালন করে থাকে। এ উৎসবকে ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠী ‘বৈসুক’ মারমা নৃগোষ্ঠী ‘সাগ্রাই’ এবং চাকমা নৃগোষ্ঠী ‘বিজু’ নামে আখ্যায়িত করে থাকে। তবে সময় পার্বত্য এলাকায় (রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি) এই বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসাবি’ নামে পরিচিত।

নববর্ষে জাতীয় কর্মসূচি :

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এই দিনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করার জন্য ”বাংলা একাডেমি’, নজরুল একাডেমি’, ‘নজরুল ইনস্টিটিউট’, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’, ‘বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ‘জাতীয় জাদুঘর’, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান এবং দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। এদিনে রেডিও, টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে থাকে।

নববর্ষের তাৎপর্য :

নববর্ষের উৎসব-অনুষ্ঠান একটি সর্বজনীন অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান। এ বর্ষবরণকে উপলক্ষ করে বাঙালি জীবনে এক আনন্দময় সামাজিক যোগাযোগ ঘটে। নববর্ষ আমাদের সামনে সম্ভাবনার যে নতুন আহ্বান বয়ে মানে তাকে জীবনের আনন্দ ও কল্যাণে আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। নববর্ষের উৎফুল্ল মিলনোৎসবের মধ্য দিয়ে আমাদের সামষ্টিক চেতনা ও মানবিক চেতনা যেন আরো উজ্জীবিত হয়। আমরা যেন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র-চেতনার ঊর্ধ্বে ওঠে পারস্পরিক প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিনির্মাণ করতে পারি সুন্দর ও সমৃদ্ধ আগামী।

উপসংহার:

বাংলা নববর্ষ বাঙালি জীবনের এক অনবদ্য আনন্দের উৎস। পুরাতন গ্লানি ও ব্যর্থতাকে পশ্চাতে ফেলে নববর্ষ হয়ে মানে নতুন স্বপ্ন, নতুন সম্ভাবনা। কাল-বৈশাখীর তাণ্ডব উড়িয়ে নিয়ে যায় জীবনের ব্যর্থ সঞ্চয়ের জীর্ণস্তূপ। নববর্ষ নতুন অনিশ্চিতের সুনিশ্চিত সম্ভাবনার আহ্বান। এই দিনে চির নতুনের প্রথম গানে বিকশিত হয়ে ওঠে সবার জীবন। নববর্ষ জীবনের তুচ্ছতাকে পশ্চাতে ফেলে নতুন আনন্দে যুক্ত হওয়ার এক অবিনাশী প্রত্যয়।

 

আরো দেখুনঃ

 

Leave a Comment