বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উক্তি,স্ট্যাটাস,ক্যাপশন,বানী ও কবিতা এবং রচনা

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উক্তি,স্ট্যাটাস,ক্যাপশন,বানী ও কবিতা এবং রচনা। আজকে আমাদের এই ক্ষুদ্র জ্ঞানে বঙ্গবন্ধুকে নিয় উক্তি,স্ট্যাটাস,ক্যাপশন,বানী ও কবিতা এবং রচনা নিয়ে আর্টিকেল লেখা হয়েছে আপনারা এই আর্টিকেল গুলো আমাদের এই পেজ থেকে পড়তে পারেন।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উক্তি,স্ট্যাটাস,ক্যাপশন,বানী ও কবিতা এবং রচনা নিয়ে সাজানো হয়েছে। এই উক্তির মাধ্যমে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারেন। নিম্নে থেকে উক্তিগুলো জেনে নিতে পারেন।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উক্তি

> আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়।

(ফিদেল কাস্ত্রো) 

> শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে,আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে

( ফিদেল কাস্ত্রো) 

> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরলস এক রাষ্ট্রনায়ক । 

(প্রণব মুখোপাধ্যায়) 

>  বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক দলিল। 

( ইউনেসকো) 

>  আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি।

(ফিদেল কাস্ত্রো) 

আমি কিংবদন্তির কথা বলছি আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি। তিনি স্বপ্নের মত সত্য ভাষণের কথা বলতেন সুপ্রাচীন সংগীতের আশ্চর্য ব্যাপ্তির কথা বলতেন তিনি কবি এবং কবিতার কথা বলতেন।
-জসীমউদ্দীন

> আওয়ামিলীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের মত তেজী এবং গতিশীল নেতা আগামী বিশ বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না।

>  হেনরি কিসিঞ্জার

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্ট্যাটাস

> শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী ছিলেন না, কিন্তু তাঁকে সেই পথে যেতে বাধ্য করা হয়।

(নওয়াজ শরীফ) 

> মুজিব হত্যার পর বাঙালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে।
(উইলিবান্ট) 

> ঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে বাঙলাদেশই শুধু এতিম হয় নি বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তানকে।
( জেমসলামন্ড) 

> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতীষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম শহীদ। তাই তিনি অমর।
(সাদ্দাম হোসেন) 

> দিকে দিকে আজ অশ্রম্নুগঙ্গা রক্তগঙ্গা বহমান নাই নাই ভয় হবে হবে জয় জয় মুজিবুর রহমান।
(অন্নদাশঙ্কর রায়) 

> শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী ছিলেন না, কিন্তু তাঁকে সেই পথে যেতে বাধ্য করা হয়।
(নওয়াজ শরীফ)

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ক্যাপশন

> বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক দলিল।
(ইউনেসকো) 

> বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরো আগেই একটি উন্নত দেশে পরিনত হত ।

(প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) 

>  শেখ মুজিবুর রহমান ভিয়েতনামী জনগনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।

( কেনেথা কাউণ্ডা) 

> বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে বাঙলাদেশই শুধু এতিম হয় নি বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তানকে।

( জেমসলামন্ড) 

> যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।
(অন্নদাশঙ্কর রায়) 

> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস।

(মো. আবদুল হামিদ) 

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বানী

নরহত্যা মহাপাপ, তার চেয়ে পাপ আরো বড়ো করে যদি তাঁর পুত্রসম বিশ্বাসভাজন জাতির জনক যিনি অতর্কিতে তাঁরেই নিধন। নিধন সবংশে হলে সেই পাপ আরো গুরুতর।
-অন্নদাশঙ্কর রায়

>  শেখ মুজিব নিহত হবার খবরে আমি মর্মাহত। তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন। তার অনন্যসাধারন সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগনের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল।

( ইন্দিরা গান্ধী) 

> আওয়ামিলীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের মত তেজী এবং গতিশীল নেতা আগামী বিশ বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না।
( হেনরি কিসিঞ্জার) 

> শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুই য়ের সাথে তুলনা করা যায়। জনগন তার কাছে এত প্রিয় ছিল যে লুই ইয়ের মত তিনি এ দাবী করতে পারেন আমি ই রাষ্ট্র।
(পশ্চিম জার্মানী পত্রিকা) 

> বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সাহসী নেতা।
( প্রণব মুখার্জি) 

> শেখ মুজিবুর রহমান ভিয়েতনামী জনগনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
( কেনেথা কাউণ্ডা) 

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা

> মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনই জন্ম নিতনা।
(ফিনান্সিয়াল টাইমস) 

> শেখ মুজিব নিহত হবার খবরে আমি মর্মাহত। তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন।তার অনন্যসাধারন সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগনের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল।
(ইন্দিরা গান্ধী) 

> যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই। যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো, বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই। তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা, আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা।
(হাসান মতিউর রহমান) 

> শেখ মুজিব নিহত হলেন তার নিজেরই সেনাবাহিনীর হাতে অথচ তাকে হত্যা করতে পাকিস্তানীরা সংকোচবোধ করেছে।
(বিবিসি-১৫ আগস্ট ১৯৭৫) 

> শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে,আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।
(ফিদেল কাস্ত্রো) 

> শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণী বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ।।
(গৌরী প্রসন্ন মজুমদার) 

> আপোষহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ঠ্য।
(ইয়াসির আরাফাত) 

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা

সংকেতঃ সূচনা, বঙ্গবন্ধুর শৈশব, বঙ্গবন্ধুর পড়াশোনা, বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা, বঙ্গবন্ধুর নৈতিকতাবোধ, উপসংহার ।

সূচনাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির জন্য এক মহান ব্যক্তি । যিনি কিনা যত দিন বেঁচে ছিলেন তত দিন শুধু সংগ্রাম করে গিয়েছেন বাঙালিদের অধিকার আদায়ের জন্য । তিনি ছিলেন এক সাহসী নেতা।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসী অনুপ্রেরণায় বাঙালিরা যুদ্ধে জয় লাভ করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর শৈশবঃ বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সুষমামণ্ডিত টুঙ্গিপাড়ায়। টুঙ্গীপাড়া গ্রামেই শেখ মুজিবুর রহমান ধনধান্যে পুষ্প ভরা শস্য শ্যামলা রূপসী বাংলাকে দেখেছেন। তিনি আবহমান বাংলার আলো-বাতাসে লালিত ও বর্ধিত হয়েছেন।তিনি দোয়েল ও বাবুই পাখি ভীষণ ভালোবাসতেন। বাড়িতে শালিক ও ময়না পুষতেন। আবার নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার কাটতেন। বানর ও কুকুর পুষতেন বোনদের নিয়ে। পাখি আর জীবজন্তুর প্রতি ছিল গভীর মমতা। মাছরাঙা ডুব দিয়ে কীভাবে মাছ ধরে তাও তিনি খেয়াল করতেন খালের পাড়ে বসে বসে। ফুটবল ছিল তার প্রিয় খেলা। এভাবে তার শৈশব কেটেছে মেঠো পথের ধুলোবালি মেখে আর বর্ষার কাদা পানিতে ভিজে। গ্রামের মাটি আর মানুষ তাঁকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করতো।

বঙ্গবন্ধুর পড়াশোনাঃ বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমান আদালতে চাকরি করতেন । তার মাতা সায়েরা খাতুন ছিলেন গৃহিনী। পিতা-মাতার স্বপ্ন ছিলবড় হয়ে তিনি একজন বিজ্ঞ আইনজীবী হবেন। টুঙ্গিপাড়ার সেই শেখ বাড়ির দক্ষিণে ছিল কাছারি ঘর। এখানেই মাস্টার, পন্ডিতও মৌলভী সাহেবদের কাছে ছোট্ট মুজিবের হাতেখড়ি। একটু বড় হলে তাদের পূর্ব পুররুষদের গড়া গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়েতার লেখাপড়া শুরু হয়। এরপর পিতার কর্মস্থল মাদারীপুরের ইসলামিয়া হাইস্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে কিছুদিন লেখাপড়া করেন।

পরবর্তীতে তার পিতা বদলি হয়ে গোপালগঞ্জে যোগদান করলে তিনি গোপালগঞ্জ মিশন হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন। বিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতেন তিনি। পছন্দ করতেন ইতিহাসের বই।এসব কারণে প্রধান শিক্ষক গিরিশ চন্দ্রসহ সকল শিক্ষকের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলেন শেখ মুজিব। শিশুকাল থেকেই শেখ মুজিবছিলেন পরোপকারী এবং অন্যায়ের প্রতিবাদী। মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় যেমন সহযোগিতার হাত বাড়াতেন-তেমনি কারো প্রতিঅন্যায় আচরণ দেখলে প্রতিবাদ করতেন। মাত্র তের বছর বয়সে প্রতিবাদের এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসাঃ বঙ্গবন্ধু ছোটদেরকে ভীষণ ভালোবাসতেন। কচিকাঁচার মেলা ও খেলাঘর ছিল তাঁর প্রিয় সংগঠন। কৈশোরে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কচিকাঁচার আসরে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর জীবনের শেষ দিনটি তিনি কাটিয়েছেন এই সংগঠনের ভাই-বোনদের মাঝে। তাঁর জন্মদিনটিকে এখন আমরা জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করি। শিশুদের কাছে দিনটি আনন্দ-খুশির।

বঙ্গবন্ধুর নৈতিকতাবোধঃ বঙ্গবন্ধু শাশ্বত গ্রামীণ সমাজের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না ছেলেবেলা থেকে গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। শৈশব থেকে তত্কালীনসমাজ জীবনে তিনি জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও প্রজা নিপীড়ন দেখেছেন। গ্রামের হিন্দু, মুসলমানদের সম্মিলিত সামাজিক আবহে তিনি দীক্ষা পান অসাম্প্রদায়িকতার। আর পড়শি দরিদ্র মানুষের দুঃখ, কষ্ট তাঁকেসারাজীবন সাধারণ দুঃখী মানুষের প্রতি অগাধ ভালবাসায় সিক্ত করে তোলে।

বস্তুতপক্ষে সমাজ ও পরিবেশ তাঁকে অন্যায়েরবিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম করতে শিখিয়েছে। তাই পরবর্তী জীবনে তিনি কোনো শক্তির কাছে— সে যত বড়ই হোক, আত্মসমর্পনকরেননি; মাথানত করেননি। অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক একবার তাঁদের স্কুল পরিদর্শনেএসেছিলেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আর সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের স্কুল মেরামতের জন্য অর্থবরাদ্দ করেন।

উপসংহারঃ দেশের মানুষের জন্য দেশের জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান কখনো অস্বীকার করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের এক মহান ব্যক্তি এবং সাহসী নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের শিখিয়েছেন কিভাবে বুক উচু করে বেঁচে থাকতে হয়। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার সাহস শিখিয়েছেন।

আরো দেখুনঃ

সর্বশেষ কথাঃ

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উক্তি,স্ট্যাটাস,ক্যাপশন,বানী ও কবিতা এবং রচনা লেখা হয়েছে। এই পোস্ট সকলের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।

Leave a Comment