টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান-বিখ্যাতো তাতের শাড়ি টাংগাইল

সুপ্রিয় দর্শক আজকে আপনাদেরকে জানাবো টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান। এবং বিখ্যাত তাতের শাড়ি নিয়ে। ঢাকা বিভাগের সবচেয়ে বড় জেলা হচ্ছে টাঙ্গাইল। যার আয়তন ৩৪১৪.৩৫ বর্গ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে টাঙ্গাইলের প্রায় জনসংখ্যা আছে ৩৮ লক্ষ। টাঙ্গাইল জেলা কৃষিপ্রধান অঞ্চল। টাঙ্গাইল জেলায় আকর্ষণীয় অনেকগুলি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। দর্শনীয় স্থানগুলি দেখার জন্য মানুষের প্রচুর সমাগম হয়।

টাঙ্গাইলের সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে এখানে বড় বড় নেতাদের জন্মস্থান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। যিনি এই টাঙ্গাইল জেলার কৃতিসন্তান ছিলেন। যিনি দেশ ও বিদেশে অনেক সুনাম অর্জন করেছে। যার প্রতিষ্ঠান এ লেখাপড়া করে অনেক বড় মানুষের মত মানুষ হচ্ছে। এছাড়াও টাঙ্গাইলের আরো অনেক কৃতি সন্তান রয়েছে যার মধ্যে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযোদ্ধার মহানায়ক ছিলেন। আমরা আজকে জানবো টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।

টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থানসমূহ 

শুরুতেই আমরা জেনে নিব টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থানসমূহের কয়েকটি নামঃ

 > ময়মনসিংহ দর্শনীয় স্থানসমূহ

> সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থানসমূহ

> নাগরপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ

 > মধুপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ

 > সখিপুর দর্শনীয় স্থানসমূহ

যারা টাঙ্গাইলের দর্শনীয় স্থানসমূহ দেখার জন্য অধিক আগ্রহী। তারা আমাদের এই পেজে দর্শনীয় স্থান দেখে আসুন। আপনাদের জন্য সুন্দরভাবে সাজিয়ে দর্শনীয় স্থান উপস্থাপন করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান গুলো হচ্ছে, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, নাগরপুর, মধুপুর, সখিপুর। আপনি চাইলে টাঙ্গাইলের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানসমূহ গ্রহণ করতে পারেন।

বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার ময়মনসিংহ দর্শনীয় স্থান

picture 1

সাম্প্রতিক সময়ে টাঙ্গাইল জেলায় যে কাজগুলি করা হয়। এই কাজগুলি পূর্বে ময়মনসিংহে করা হতো। কোটকাচারি থেকে শুরু করে পাসপোর্ট পর্যন্ত ময়মনসিংহ করা হতো। তাই বলা চলে ময়মনসিংহ অনেক প্রবীণ দর্শনীয় স্থান। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি। পাকিস্তান আমল থেকে রাজবাড়ী টি হুবহু একই অবস্থায় রয়েছে। এই জমিদার বাড়িটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জমিদার বাড়ি।

এই জমিদার বাড়ি শ্রীকৃষ্ণ আচার্য ১৭২৫ সালে জমিদার বাড়ি স্থাপনা শুরু করেন। পূর্বে এর নাম ছিল বিনোদ বাড়ির বর্তমানে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি।  বর্তমানে পরিচর্যার অভাবে এই জমিদার বাড়ির অনেক স্থাপনা বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থানসমূহ

picture 2

সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান। সিরাজগঞ্জে রয়েছে দর্শনীয় দৃষ্টিনন্দন স্থান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বাঘাবাড়ী নদী বন্দর, নবরত্ন মন্দির, অনেক পুরনো নিদর্শন এটি। সিরাজগঞ্জের পোতাজিয়া জমিদার চন্ডী প্রসাদ রায়ের বংশধর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও আরও আছে বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকোপার্ক। সিরাজগঞ্জের বিনোদনের বড় কেন্দ্রস্থল। এই পার্কটি ২০০৭ সালে সালে ১২০ একর জায়গার ওপর স্থাপন করা হয়। যা এখন পর্যটকদের জন্য মনকাড়া দৃশ্য।

শিব মন্দির, যা সিরাজগঞ্জ জেলার অনেক পুরনো স্থান। এ মন্দিরে সিজন অনুযায়ী দুর্গাপূজা হয়। এখানকার মন্দিরে ঢোল বাদ্য বাজনা সমূহ ও গান পরিবেশন করে থাকে। যা দর্শকদের মনের ভেতর উল্লাসের উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও এখানে আরো রয়েছে অনেক মন্দির সমূহ।

টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ

picture 3

নাগরপুর দর্শনীয় স্থানসমূহ। নাগরপুরের জমিদার বাড়ি যা ইতিহাসের এক ঐতিহ্য স্থানসমূহ। সেখানে দাঁড়িয়ে আছে চমৎকার দর্শনীয় জমিদার বাড়িটি।যা এর দেয়ালে রয়েছে সৌন্দর্যের পরম ছোঁয়া। অন্যান্য জমিদার বাড়ি চেয়ে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া জমিদার বাড়িটি একটু ভিন্ন। যা কারুকার্যে এক অনন্য চমক দেখায়। আপনারা যারা এরকম দৃশ্য দেখতে চাই তাহলে অতি শীঘ্রই নাগরপুর দর্শনীয় স্থানসমূহের জমিদার বাড়িটি দেখে আসতে পারেন।

টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ

picture 4

মধুপুরের দর্শনীয় স্থানসমূহ। আমরা অনেকেই জানি, মধুপুর আনারসের জন্য বিখ্যাত। যারা মধুপুর বেড়াতে যায়, অন্তত হলেও আনারস বাগানটি একনজর হলেও দেখে আসে। এছাড়াও মধুপুর আর ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে, যেমন শালবন। এই শালবন যখন পুরনো পাতা ঝরে নতুন পাতায় তখন দেখতে অপূর্ব দেখায়। তখন বনের মধ্যে এক নতুন জীবন ফিরে আসে। বনের আশেপাশে অন্যান্য স্থানে ঘুরলে আরও মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। যা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান সমূহ। যারা বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায় আছেন তারা অন্ততপক্ষে হলেও এই স্থানটি ঘুরে দেখতে পারেন।

টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর এর দর্শনীয় স্থানসমূহ

picture 5

সখিপুর দর্শনীয় স্থানসমূহ। সখিপুর এক ঐতিহ্যবাহী স্থানের নাম হচ্ছে বহেড়াতৈল। এই বহেড়াতৈল স্থানে স্বাধীনতাযুদ্ধের গৌরবময় অধ্যায় রচিত হয়েছিল। বর্তমানে এখন একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপিত হয়েছে। সখীপুর উপজেলার বড়বাজার স্থান বর্তমানে দর্শনীয় স্থানসমূহের এক অনন্য উদাহরণ। সেখানে রয়েছে কোকিলা পাবর স্মৃতিসৌধ। আপনাদের মধ্যে যারা সখিপুর দর্শনীয় স্থানসমূহ দেখতে আগ্রহী তারা স্মৃতিসৌধটি দেখে আসতে পারেন।

বিখ্যাত তাঁতের শাড়ি টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ির জন্য খুবই বিখ্যাত। বর্তমানে দেলদুয়ার থানার পাথরাইল ইউনিয়নের তাঁতের শাড়ি বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এর জনপ্রিয়তা খুবই। টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প শুরু হয় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। বর্তমানে আজও তাঁত শিল্প ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এগিয়ে চলছে। কঠোর পরিশ্রম দিয়ে নিখুঁত নকশা করে তাঁতের শাড়ি তৈরি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। আপনারা যারা বিখ্যাত তাঁতের শাড়ি নিতে চান তাহলে দেরি না করে এই টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি নিতে পারেন।

শেষ কথাঃ 

এই ছিল আজকে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার কিছু দর্শনীয় স্থানসমূহ। আমাদের অনেকেরই মন চায় কিছু আনকমন জায়গা ঘুরে দেখার।তো তারা চলে আসতে পারেন, টাঙ্গাইল জেলার ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানসমূহ দেখার জন্য। উপভোগ করুন দেখে আসুন এই রইলো কামনা, আশাকরি সকলে ভালো থাকবেন।

আরো দেখুনঃ

Leave a Comment