গভীর রাতের উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন,বানী ও কবিতা

গভীর রাতের উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন,বানী ও কবিতা। আমাদের পেজ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন পোস্ট। গভীর রাতের উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন,বানী ও কবিতা সার্চ করতেছেন। কিন্তু এখনো খুঁজে পাননি তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট।

আমাদের এই পেজ থেকে গভীর রাতের উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন,বানী ও কবিতা পোস্টটি দেখতে পারেন, আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। আরো উক্তি পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

গভীর রাতের উক্তি

গভীর রাতের উক্তি আমাদের পেজ থেকে পড়তে পারেনঃ

> তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করেন রাত্রিতে। তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত।

> নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দমনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।

> যারা দিনের বেলা স্বপ্ন দেখে তারা অনেক কিছুর জ্ঞান রাখেন, যা যারা শুধু রাতের বেলা স্বপ্ন দেখে তারা হাতছাড়া করে ফেলে ।

> রাত যত অন্ধকার হয়, তারাগুলো আরো উজ্জ্বল হয়,
দুঃখ আরো গভীর হয়, সৃষ্টিকর্তা আরো কাছাকাছি থাকে ।

>  রাতের কালো অন্ধকার কখনো অশুভ হয় না, বরং তারা হয় নতুন আলোর দিশারি। সেই কালো, ঘন অন্ধকার পেরিয়েই তো নতুন দিন আসে, আসে নক্ষত্রের তীব্র আলো।

গভীর রাতের স্ট্যাটাস

গভীর রাতের স্ট্যাটাসঃ

> আমি আমার সকল অভিযোগ জমিয়ে রাখি, তারপর গভীর রাতে ছুড়ে দেই আকাশ পানে। চাঁদের কালচে কলঙ্কের সাথে মেশে।

>  রাত মানে গভীর নেশা, স্বপ্ন দেখার আশা। রাত মানে লুকিয়ে থাকা,
উষ্ণ ভালবাসা। রাত মানে চোখটি বুজে, স্মৃতির মোড়ক খোলা। রাত মানে তোমাদের আমার শুভ রাত্রি বলা।

> ভোরের আলো উঠবে ফোটে রাতের অবসানে,
তোমায় আবার জাগতে হবে নতুন আলোর টানে,
নতুন দিনে চলতে হবে নতুন পথের যাত্রী

> রাতের গভীরতা যত বাড়ে, আঁধার যত গাঢ় হয়
মনে রেখো আলোর সকাল তোমার ততটাই কাছে আছে।

গভীর রাতের ক্যাপশন

গভীর রাতের ক্যাপশনঃ

> নীলচে আকাশ কালো হয়, রাত নামে আমার শহর জুড়ে
তোমার নামের চিঠিগুলো আমি দেই জোনাক পোকার কাছে, সেগুলো আলো সব জ্বলে।

> নিরব নিস্তব্ধ এই রাতে,
আমি জেগে আছি ঐ জোনাকি পোকার সাথে।
দেখেছি আমি ঐ দূর আকাশের চাঁদ,
এইভাবে কেটে যায় আমার দুঃখ ভরা রাত

> গভীর রাত জানে
সময় থেমে থাকার যন্ত্রনা,
একটি নির্ঘুম রাত যেন
খেই হারা শত ভাবনা।

>  রাতের গভীরতা যখন ক্রমশ বেড়ে যায়, চারদিকে নিস্তব্ধতা, আকাশের তারা ছাড়া বাকি সবার ছুটি। ঠিক তখনই সকল স্মৃতির অঙ্কুর ডালপালা মেলে।

গভীর রাতের বানী

গভীর রাতের বানীঃ

> গভীর রাতে যে তারা আপনাকে পথের দিশা দেখায়, রাত শেষে দিনের আগমনে সেই তারারাই লুকিয়ে পড়ে অচেনায়।

>  এমন কোনো রাত বা সমস্যা নেই যা নতুন সূর্যোদয় বা কোনো আশাকে পরাস্ত করতে পারে।

>  গভীর রাতে যখন আমি জেগে ওঠি তখন আমি অন্য মানুষ, আমি তখন একাকী, যেন এই পৃথিবীর একমাত্র মানুষ আমি। নিজেকে তৈরি করার জন্য সেটাই হয়তো সেরা সময়।

>  গভীর রাতের আলো আমায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় স্মৃতির সাগর পারে, আর নিস্তব্ধতা আমায় বাধ্য করে সেই সাগরে অবগাহনে।

> রাতের সব তারারাই আছে দিনের আলোর গভীরে।

>  কে বলে গভীর রাতে আলো থাকে না?
ঐ তো কতো জোনাকি, কত তারা, কত বড় এক চাঁদ!
শুধু চোখটা খোলা রাখতে জানতে হয়

গভীর রাতের কবিতা

গভীর রাতের কবিতাঃ

গভীর রাতের চিঠি
– মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু-

কষ্ট বিলাস
গভীর রাতের চিঠি

জাহাঙ্গীর বাবু

এখন রাত দু টা ঘড়ির কাঁটায়
রাত নয় প্রথম প্রহর নতুন দিনের।

প্রিয়তমা আমার
ভীষন মনে পড়ছে তোমায়
প্রবাসে এই পাঁচ ফুট – আট ফুটের কামরায়
সেই রাত দশটার পর থেকে এ পাশ ও পাশ!

এখানে আমি থাকি তিন তলায়
দু টি কক্ষের স্থলে পাঁচটি খুপরি আছে,
প্রতি কক্ষে এক জনের উপর আরেক জন
পা ফেলার জায়গা টুকু আছে কোন রকম
চার পাশ থেকে ক্লান্ত দেহ গুলোর
সে কি নাক ডাকার শব্দ
এলার্ম বাজতেই ছুটবে সবাই কাঁধে ব্যাগ নিয়ে
যে যার কর্ম স্থলে।

আমি বিছানায় এ পাশ ও পাশ করছি
কয়েক মিনিট পুর্বে শাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে ছিলাম
কাজ হয়নি, মোবাইল নিয়ে লিখতে লাগলাম
কি লিখব বলোতো?

আমি তোমার যোগ্য নই.তাই
আমি তোমার জীবনের এক অভিশাপ!

আমার না হয়ে অন্য কোথাও থাকলে সুখী হতে
পাশে পেতে তাকে,আজ আমি দুরে থাকি বহু দুরে
দুর প্রবাসে।

প্রবাসী স্বামী কি স্ত্রীর জিবনে অভিশাপ?
প্রবাসে থেকেও থাকতে চেয়েছি কাছে
অডিও টেপে,চিঠিতে,আজ কাল টেংগু,স্কাইপিতে।

তোমার মনে আছে,
কত বড় বড় চিঠি লিখতাম তোমায়
লিখতাম কত স্বপ্নের কথা
চৌদদ বছর কিভাবে কেটে গেলো
মোবাইলের সহজ লভ্যতায় কাঁটায় কাঁটায় হিসেব করে
কথা বলতে হয় এখন
হায় হ্যালোতেই সময় শেষ
প্রবাসে কাজের ব্যাস্ততা
অথচ এই আমি ওজনে মেপে দিস্তায় দিস্তায় লিখেছি তোমায়
আচ্ছা ভালোবাসা কি মেপে মেপে হয়!

কত দিন,কত গুলি বছর পার হয়ে গেলো
মেয়েরাও বড় হচ্ছে, আমার কথাও ফুরিয়ে এসেছে
গত কাল যখন মুখে তপ্ত পানি মনের ভুলে
আঘাত হানলো আমার মুখে
তখন তোমার কথাই মনে পড়েছে প্রথমে।

আমার আজো মনে আছে
আমার গায়ে যে বার বসন্ত হলো
তোমার গর্ভে আমার বড় মেয়ে,
সাত মাস চলছে বোধ করি
সবাই বললো তোমাকে আলাদা থাকতে
তুমি থাকোনি,বলেছিলে সন্তানের চেয়ে স্বামী কম কিসে
আমার প্রচন্ড কাঁপুনি দিয়ে জ্ব্রর আসতো
সবার সামনে জড়িয়ে ধরতে আমায়
আমার মা ও ধরতো, মধ্য রাত অবধি
তার পর সারা রাত আমায় আগলে রাখতে
তখনো আমায় তুমি নাকি পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারোনি,
তবে কেন পঁচা দুর্গন্ধ শরীরকে জড়িয়ে রাখতে!

আরেক বার ডেংগু হলে হাসপাতালের সেই ছোট খাটে
নার্স ডাক্তারের বারন ভেংগে রাতের পর রাত
গুটি শুটি হয়ে পড়ে থাকতে উত্তপ্ত শরীরের সাথে
তখনো নাকি আমার উপর ভরসা পেতে না!

আজা আমায় বুঝ তুমি,ভরসা করতে পারো
কিন্তু আমায় জড়িয়ে ধরতে পারো না
সে দিন ফেস বুকের ছবি দেখে ফোন দিয়ে কাঁদলে
আর ভাগ্য বিধাতার কাছে প্রশ্ন করলে
কেন এমন হলো?

আসলে তুমি আমাকে আমার চেয়ে
অনেক বেশী ভালোবাসো
তাই না
জানো আমি ও তোমাকে
আমার জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসি
আমার কাজের মাঝে আমি তোমাকে খুঁজি
আমার অসুস্থতায় তোমাকে পাশে পেতে চাই
পাই না!

আমি লিখি অনেক লিখি তোমাকে নিয়ে লিখি
কঠিন ভাষায় আমি ভালোবাসার কথা লিখতে পারিনা
আমি আমার মতো করে তোমাকে ভালোবাসার কথা বলি
আমি তোমাকে ভালোবাসি।

আজ কাল মাথায় কি যে হয়েছে,তাড়াতাড়ি চটে যাই
তাই না
ফোন ধরতে দেরী হলে কত কথা বলি ফোন কেটে দেই
বাবা ছিলো একদা আমার বন্ধু
আমি আমার বাবার কাছ থেকে অনেক দুরে সরে গেছি
সময়ের প্রয়োজনে,
মা আছে বরাবরের মতোই
চৌদদ বসন্তের গড়ে বারো বসন্তই কাটলো প্রবাসে।

গ্যাষ্টিকের জ্বালা পোড়া পুড়াচ্ছে ভীষন
বহুমুত্র বাড়িয়েছে মাত্রা,হাটু ও নড়বড়ে
অনেক কাজ এখনো বাকী প্রিয়তমা
বউ বলে ডাকা হয়নি কত দিন
বাবার কিছু স্বপ্ন এখনো বাকী
তোমার জন্য একটা বাড়ি
মেয়েদের শিক্ষার জন্য কিছু চাই বৈকি
জানি না পারবো কি না?

আমার স্বপ্ন গুলো স্বপ্নে ভাংগে বার বার
তাই স্বপ্ন দেখি না,স্বপ্ন অনেক দেখেছি
ভাবছি ধনী নাই হলাম,আমার যা লেখা আছে
বইয়ের কাগজে রেখে যাবো।

মাথা আমার ব্যাথায় টন টন করছে
মাথার পিছনটায় বিদ্যুত চমকায় মাঝে মাঝে
কাল থেকে আজ মুখের জ্বালা পোড়াটা কিছুটা কমেছে
আজ সারা দিন রোদের তাপে মুখটার যে কি হাল হয়েছিলো।

আজ দেখলাম বড় মেয়ে দারুন একটা দৃশ্য এঁকেছে
এবারতো দুই মেয়ে দারুন ফলাফল করল
সে সাথে প্রথম পুরস্কারের প্লেটের ছড়াছড়ি ঘরে।

চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে, চশমাটা বদলাতে হবে
তোমাকে ভালোবাসব বলে কত কথা জমা করে দেশে যাই
অনাহুত কাল বৈশাখী আমার পিছু ছাড়ে না
ওত পেতে বসে থাকে, এবার এসেছে ধীরে
আমি অনেক চেয়েছি বাবার বাগানের ফুলের যত্ন নিতে
পারিনি।

একটা ফুলে পোকায় ধরেছে,কীট নাশকেও মুক্ত হচ্ছে না
যে দিন পোকা যাবে তত দিন মালী হয়তো থাকবে না।
আমি মালী হতে চেয়েছিলাম
আমি বন্ধু হতে চেয়েছিলাম!

জানো লক্ষী বউ আমার আমি যাদের বিশ্বাস করি
ওরা কষ্ট দেয়,মুখ ফুটে বলতে পারিনা
শেষে হারাই তারে
স্বার্থের জন্য মানুষ কত কিছু করে
আমি কিন্তু পেয়ে হারাই
খড় কুটো নিয়ে বাঁচতে চাই।

ইদানিং যে ভাবে নিরীহ মানুষদের পেট্রল দিয়ে পোড়াচ্ছে
কচি শিশু যুবক মধ্য বয়সী সবাইকে পুড়িয়ে দিচ্ছে সব
ও দিকে ওরাও যে ভাবে কৌশলে মারছে
বড় কষ্ট হয়, কেমন তিরিক্ষে হয়ে গেছে মেজাজ।

আমার কথার মিষ্টতা হারিয়েছে,
হারিয়েছে শিষ্টতা আচরনে
সত্য বলেও অপরাধী সংসার সমরাংগনে।
আচ্ছা আমি যদি অসময়ে চলে যাই তোমার কষ্ট হবে
তাই না ;
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি চলে যাই নিজেই
আবার মনে হয় এখনো অনেক কাজ বাকী
আচ্ছা বলোতো আমার চাওয়া কি খুব বেশী
আমি হারিয়ে যাই, ফুরিয়ে যাই আবার ফিরে আসি
তোমার ভালোবাসায়।

এই সংসার আমার কাছে এক রঙ্গ মঞ্চ
এই মঞ্চে আমি নট রাজ!
আমার রংগ মঞ্চ সাজাতে গেলেই
অনেক ঘটনা দুর্ঘটনা ভর করে
তাই আমি ঝিমিয়ে পড়ি,
তোমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় সতেজ হই
প্রবাস জীবন আমায় করেছে যাযাবর,
আমায় করছে নিসংগ,
নিসংতার ছিপ হাতে নিয়ে বসে আছি
এক স্বর্ণালী ভোরের আশায়।

কোমরের ব্যাথা কিছুটা তীব্র হয়েছে
অনুভবে পাশে আছো তুমি
তোমার পেলব স্পর্শ অনুভুতিতে।

ঘড়িতে ভোর তিনটা বিশ,
আমার মনেরে প্রবাসী যন্ত্রনার বিষ
অনেক দিন পর তোমায় গোপন খামে নয়
ফেস বুকের খোলা খাতায় লিখলাম শেষ রাতে
জানাতে বিশ্ব ময়
প্রিয়তমা আমি তোমাকে ভালোবাসি
বউ তোমাকে অনেক বেশী ভালোবাসি।

জানি না কি লিখেছি,তোমায় ভালোবাসি বলতে চেয়েছি
এতে হয় যদি গুনাহ আমি গুনাহগার,হয় যদি পাপ,আমি পাপী
হয়তো এক দিন থাকবো না, সে দিন মনে পড়বে এই চিঠি
প্রবাস থেকে লেখা এক খোলা চিঠি
এভাবে কেউ লিখেছে কিনা আমার জানা নেই
তবে আমি লিখলাম
বউ আমি তোমাকে ভালোবাসি, ভীষন ভালোবাসি।

শেষ কথাঃ

গভীর রাতের উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন,বানী ও কবিতা। গভীর রাতের উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন,বানী ও কবিতা পোস্ট পড়ে ভালো লাগে তাহলে এই পোস্টটি সকলের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment