বাংলাদেশে আন্তঃজেলা ভ্রমণের জন্য বাস অন্যতম জনপ্রিয় পরিবহন ব্যবস্থা। বিশেষ করে যারা উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন, তাদের কাছে হিমাচল এক্সপ্রেস একটি নির্ভরযোগ্য নাম। আধুনিক মানের কোচ, আরামদায়ক সিট, নিরাপদ ভ্রমণ এবং সাশ্রয়ী ভাড়ার কারণে এই পরিবহন সংস্থা যাত্রীদের আস্থা অর্জন করেছে। যেকোনো যাত্রীকে সঠিক সময়ে টিকিট বুকিং এবং বাস কাউন্টারে যোগাযোগ করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন নির্ভরযোগ্য কাউন্টার নাম্বার। তাই আজ আমরা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব হিমাচল এক্সপ্রেস বাসের সকল কাউন্টার নাম্বার, টিকিট বুকিং সুবিধা এবং যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।
হিমাচল এক্সপ্রেস বাস কাউন্টার নাম্বার – ঢাকা ও আশেপাশের এলাকা
ঢাকা শহরে হিমাচল এক্সপ্রেসের একাধিক কাউন্টার রয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রতিটি কাউন্টারে নির্দিষ্ট যোগাযোগ নম্বর দেওয়া হয়েছে, যাতে ফোন করে আসন খালি আছে কি না তা জানা যায় এবং টিকিট বুকিং করা যায়।
গাবতলী বাস টার্মিনাল: এখানে হিমাচল এক্সপ্রেসের প্রধান কাউন্টার অবস্থিত। যোগাযোগ নম্বরে ফোন করে উত্তরবঙ্গগামী সকল বাসের সময়সূচি জানা যায়।
কল্যাণপুর কাউন্টার: ঢাকা থেকে যাত্রাকারীদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লোকেশন। এখানে থেকেও যাত্রীরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করতে পারেন।
সায়েদাবাদ কাউন্টার: দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক।
এসব কাউন্টারের মাধ্যমে ঢাকা থেকে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে সহজে যাতায়াত করা সম্ভব। প্রতিটি কাউন্টার নম্বর যাত্রীদের দ্রুত সেবা প্রদান করে।
হিমাচল এক্সপ্রেস বাস কাউন্টার নাম্বার – উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ
উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হিমাচল এক্সপ্রেসের আলাদা আলাদা কাউন্টার রয়েছে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হলো:
বগুড়া কাউন্টার: উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্য সবচেয়ে ব্যস্ত কাউন্টার। এখান থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ একাধিক রুটে বাস চলাচল করে।
রাজশাহী কাউন্টার: রাজশাহী বিভাগের যাত্রীদের সুবিধার্থে এখানে হিমাচল এক্সপ্রেসের নির্দিষ্ট বাস কাউন্টার রয়েছে।
রংপুর কাউন্টার: উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান যোগাযোগ কেন্দ্র।
কুমিল্লা ও ফেনী কাউন্টার: দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যাত্রীদের জন্য নির্ভরযোগ্য সেবা।
চট্টগ্রাম কাউন্টার: ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের জন্য এখানে হিমাচল এক্সপ্রেসের বাস চালু রয়েছে।
এসব কাউন্টারের নাম্বারে ফোন করে যাত্রীরা ভ্রমণের সময়সূচি, টিকিট বুকিং এবং ভাড়া সম্পর্কিত তথ্য সহজে পেতে পারেন।
হিমাচল এক্সপ্রেস বাসের টিকিট বুকিং ও যাত্রী সেবা সুবিধা
হিমাচল এক্সপ্রেস যাত্রীদের জন্য আধুনিক ও উন্নত সেবা প্রদানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমানে টিকিট বুকিং এর জন্য কাউন্টারের পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যায়। ফলে যাত্রীদের আলাদা করে কাউন্টারে যেতে হয় না, বরং অনলাইনেই সহজে সিট বুকিং করা যায়।
অনলাইন টিকিট বুকিং: নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করে যাত্রীরা অগ্রিম টিকিট বুক করতে পারেন।
সাশ্রয়ী ভাড়া: যাত্রীদের আয়ত্তে রেখে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
নিরাপত্তা: প্রতিটি কোচে সিসি ক্যামেরা ও আধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।
আরামদায়ক ভ্রমণ: এসি ও নন-এসি উভয় ধরনের কোচ রয়েছে, যাতে যাত্রীরা নিজেদের বাজেট অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন।
২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন: যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীরা সরাসরি কাউন্টার নাম্বারে ফোন করে সাহায্য পেতে পারেন।
এসব সুবিধার কারণে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী হিমাচল এক্সপ্রেসকে বেছে নিচ্ছেন তাদের ভ্রমণের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হিসেবে।
হিমাচল এক্সপ্রেস বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বাস পরিবহন সংস্থা। যাত্রীদের ভ্রমণকে সহজ করতে বিভিন্ন জেলায় তাদের একাধিক কাউন্টার রয়েছে, প্রতিটি কাউন্টারে নির্দিষ্ট নাম্বার দিয়ে রাখা হয়েছে যাতে সহজে যোগাযোগ করা যায়। তাই যেকোনো যাত্রী ভ্রমণের আগে হিমাচল এক্সপ্রেসের কাউন্টার নাম্বারে যোগাযোগ করলে ভ্রমণ আরও সুবিধাজনক হয়। নিরাপদ, আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী ভ্রমণের জন্য হিমাচল এক্সপ্রেস হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।