সাধারণ কথায় বলতে পারি, কলা আমাদের সকলের কাছে প্রিয় খাবার। এই প্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শুধু তাই নয় কলা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় রান্নার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। আর কলার রান্না অত্যন্ত সুস্বাদু। কলার মধ্যে যে সমস্ত উপাদান গুলি রয়েছে তা আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
আপনারা যারা কলা খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য কলার উপকারিতা ও অপকারিতা অবশ্যই জানা উচিত। কলা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমাদের এই পেজে কথা বলব কলার সব ধরনের উপকারিতা নিয়ে। যা জানলে আপনাদের অত্যন্ত উপকার হবে।
কলা আমাদের কি কি উপকার করে?
কলা এমন একটি খাবার যার কোন অংশ অপচয় হয় না। কলার খোসা যা আমাদের গৃহপালিত পশুদের জন্য অত্যন্ত প্রিয় খাবার হিসেবে পরিচিত। যার মধ্যে মানুষ এবং গৃহপালিত পশু সকলে এর উপকারিতা পাচ্ছে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল হচ্ছে কলা। যার মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল,ফাইবার, ইত্যাদি।নিম্নে আমরা জানবো কলার উপকারিতা।
> কলার মধ্যে যে সমস্ত উপাদান বিদ্যমান তারমধ্যে হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পটাশিয়াম যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী পাশাপাশি পটাশিয়াম এর চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
> ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কলা বেশ ভূমিকা পালন করে। কারণ হচ্ছে অন্যান্য মিষ্টিদ্রব্য তুলনায় কলা মিষ্টি হলেও এরমধ্যে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ততটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
> কলা আমাদের দেহের জন্য শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। শারীরিক দুর্বলতা দূর করে। যার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি।
>আমাদের দেহের হাড় শক্ত রাখতে কলার ভূমিকা অতুলনীয়। যার মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম এই উপাদান গুলি হারের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
> কলার মধ্যে রয়েছে ফাইবার যা আমাদের পেট পরিষ্কার এর পাশাপাশি হজম শক্তি বাড়াতেও সহায়তা করে।
কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ বিদ্যমান। যেমন ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, ইত্যাদি এর মধ্যে রয়েছে। শারীরিক গঠন এবং দেহের জন্য অত্যন্ত হেল্প ফুল।তাই আজকে আমরা জানবো কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
> হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
> ওজন বাড়াতে ও কমাতে সাহায্য করে।
> রক্ত বৃদ্ধি করার জন্য করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
> হার্টের জন্য কলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
> ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে কলা।
> আমাদের দেহের শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
কাঁচা কলার উপকারিতা
কাঁচা কলা আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কাঁচা কলার কথা মনে হলে বিশেষ একটা কথা মনে পড়ে যায়, তা হল কাঁচা কলা দিয়ে ভিন্ন স্বাদের ভর্তা রেসিপি তৈরি করা যায়। যা অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। পাকা কলার মধ্যে যেমন পুষ্টি গুনাগুন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ রয়েছে।পাশাপাশি কাঁচা কলার মধ্যেও অনুরূপ ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটি আমাদের শরীরকে স্বাস্থ্যকর ও ফিট রাখতে সহায়তা করে।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
> সাধারণত কাঁচা কলা দিয়ে ভর্তা বা তরকারি রান্না করা যায়।
> কাঁচা কলা হূদরোগ, স্ট্রোক, ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
> ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিরাময়ে কাঁচা কলার ব্যবহার হয়।
> কাঁচা কলার মধ্যে রয়েছে স্টার্চ ও খাদ্যআঁশ যা আমাদের হজমশক্তি তে সহায়তা করে।
> কাঁচা কলা ওজন কমাতেও সহায়তা করে।
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
সাধারণ অর্থে আমরা অনেকেই জানি না, রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে কলা খেতে হবে এরকম কোন নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। তবে অনেকেই বলেছেন, রাতের বেলায় কলা না খাওয়াটাই উত্তম। তার মূল কারণ হচ্ছে যাদের ঠান্ডা-সর্দি অনুভব হয় রাতের বেলায় তাদের জন্য কলা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। তা না হলে ঠান্ডা সর্দি প্রভাব বাড়তে পারে।কথা না বাড়িয়ে চলুন রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
> রাতের বেলায় কলা খেলে রাতের ঘুমটা ফ্রেশ ভাব মনে হয়। কারণ হচ্ছে কলা এ সময় আমাদের দেহে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে।
> গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে কলা বেশ ভূমিকা পালন করে। তবে কলা অতিরিক্ত বেশি খেলে আপনার এর বিপরীত ফল ঘটবে। নিয়ম অনুযায়ী কলা খেলে আপনার উপকারে আসতে পারে।
>সাধারণত রক্তচাপ কমাতে কলা আমাদের দেহের জন্য উপকার করে। আপনার যদি উচ্চরক্তচাপ ও হাই পেশার থাকে তাহলে, আপনি নিয়মমাফিক কলা খেতে পারেন। কলার মধ্যে পটাশিয়াম বিদ্যমান রয়েছে যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
> রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতার যে সমস্ত তথ্য দেওয়া হল উপরের উল্লেখিত তথ্যের মধ্যে যদি আপনার কোন প্রবলেম হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত কলা খেতে পারেন। যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে।
কলা খাওয়ার অপকারিতা
কলার অপকারিতা বলতে তেমন কোনো বিশেষ দিক নেই। সাধারণ কথায় বলতে গেলে কলার উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। তবে একটা বিশেষ লক্ষ্য করতে হবে যে জিনিসের উপকার বেশি তার ক্ষতির দিকটাও থাকাটা স্বাভাবিক।তাই আজকে আমরা কলার অপকারিতার কিছু তথ্য জানবো।
বিশেষ করে যাদের সর্দি ঠান্ডা তারা কলা কে এড়িয়ে চলুন।
এসময় কলা সেবন করলে আপনার ক্ষতির প্রভাব বেশি হতে পারে।
যখন আপনার অতিমাত্রায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তখন আপনি কলা কে এড়িয়ে চলুন।
কারণ হচ্ছে এসময় কলার মিষ্টি প্রভাবটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
তো আমরা সকল বিষয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলার চেষ্টা করব তাহলে আমাদের উপকার বেশি হবে। তাই আমরা সকলেই কলার উপকারিতা ও অপকারিতা যিনি এই কলা খাওয়ার চেষ্টা করব।
শেষ কথাঃ
নিম্নে আরো দেখুনঃ
- লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা কি কাজে লেবু ব্যবহার হয়
- টক দই এর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
- খেজুরের উপকারিতা ও যেভাবে খাবেন জেনে নিন
- আদার উপকারিতা ও গুণাবলী এবং খাওয়ার নিয়ম
- রসুনের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ এবং খাওয়ার নিয়ম
- মেথির উপকারিতা এবং ঔষধি গুন ২০২২
- মধু খাওয়ার উপকারিতা ও ঔষধি গুন