উত্তরবাংলার যাত্রীদের জন্য বগুড়া থেকে বুড়িমারী রুট একটা গুরুত্বপূর্ণ রেল যোগাযোগ এর অংশ। বুড়িমারী উপজেলার নিকটে থাকা মানুষ এবং যাত্রীর জন্য বগুড়া — বুড়িমারী রেল রাস্তাটি সময় ও খরচ-দৃষ্টিকোণ থেকে কার্যকর। রোড পথে যাতায়াতে যেমন ক্ষতি, ঝামেলা ও সময় লাগতে পারে; তেমনি ট্রেনে যাতায়াত দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও তুলনামূলক সাশ্রয়ী। তাই যারা এই রুটে যেতে চান, তাদের জন্য সময়সূচী ও টিকিট ভাড়ার সঠিক জ্ঞান থাকা জরুরি। এই নিবন্ধে আমরা ২০২৫ সালের বগুড়া–বুড়িমারী রুটের প্রধান ট্রেন, তাদের সময়সূচী, আসন শ্রেণী ও টিকিট ভাড়া বিশ্লেষণ করব।
Table of Contents
Toggleবগুড়া থেকে বুড়িমারী — ট্রেন সময়সূচী ও চলাচলকারী ট্রেনসমূহ
বগুড়া থেকে বুড়িমারীর দিকে দু’টি প্রধান আন্তঃনগর ট্রেন চলছে — Korotoa Express ও Burimari Express। ২০২৫ সালের হিসেবে তাদের সময়সূচী নিচে দেওয়া হলো।
Korotoa Express (713):
বগুড়া থেকে ছাড়ার সময় — সকাল ১০:০৩ AM।
বুড়িমারী পৌঁছানোর সময় — বিকাল ০৩:৪৫ PM।
যাত্রা সময় — প্রায় ৫ ঘণ্টা ৪২ মিনিট।
সাপ্তাহিক বন্ধের দিন — বুধবার।Burimari Express (809):
বগুড়া থেকে ছাড়ার সময় — বিকাল ০৩:০৫ PM।
বুড়িমারী পৌঁছানোর সময় — রাত ০৯:৪৫ PM (কিছু উৎস 09:40PM উল্লেখ করেছে)।
যাত্রা সময় — প্রায় ৬ ঘণ্টা ৪০–৪৫ মিনিট।
সাপ্তাহিক বন্ধের দিন — মঙ্গলবার।
এই তথ্য অনুযায়ী, যাত্রীরা তাদের সময় ও পরিকল্পনা অনুযায়ী দিনে বিকেলে বা দুপুরে ট্রেন পছন্দ করতে পারেন।
আসন শ্রেণী ও টিকিটের দাম
নিচে বগুড়া থেকে বুড়িমারী রুটের জন্য টিকিট ভাড়া ও আসন শ্রেণীর সম্ভাব্য দামের তথ্য দেওয়া হলো (২০২৫ অনুসারে)।
| ট্রেন / আসন শ্রেণী | টিকিট ভাড়া (বাংলাদেশি টাকা) |
|---|---|
| Korotoa Express (S-Chair) | ৳ ২৫৫ |
| Burimari Express (S-Chair) | ৳ ২৫৫ |
উল্লেখ্য, এই ভাড়া “S_Chair” (শোভন চেয়ার) শ্রেণীর জন্য। বর্তমানে অন্যান্য আসন শ্রেণীর (যেমন স্নিগ্ধা, বার্থ) জন্য তথ্য পাওয়া যায়নি — সম্ভবত সেসব আসন প্রত্যক্ষভাবে চলাচল না করায় বা তথ্য আপডেট না থাকায়।
সুতরাং, যদি আপনি বগুড়া থেকে বুড়িমারী রুটে সাধারণ সিট নিতে চান — প্রায় ২৫৫ টাকা বাজেট হিসেবে ধরে রাখতে পারেন।
যাত্রার সুবিধা, সতর্কতা ও পরিকল্পনার উপদেশ
সুবিধা
নিয়মিত সার্ভিস: দিনে এক বা দুই বার এমন ট্রেন পাওয়া যায় (সকাল ও বিকেলে), যা যাত্রীদের জন্য সময় নির্বাচন সহজ করে।
সাশ্রয়ী ভাড়া: ২৫৫ টাকায় সিট পাওয়ায়, রোড পথে তুলনায় যাত্রা সহজ ও সাশ্রয়ী।
দীর্ঘ রুটে সুবিধা: প্রায় ৫–৭ ঘণ্টার রেল যাত্রা, যা রোড বা বাস-যাত্রার তুলনায় আরামদায়ক হতে পারে।
সতর্কতা / সীমাবদ্ধতা
সাপ্তাহিক বন্ধের দিন: Korotoa Express বুধবার বন্ধ, Burimari Express মঙ্গলবার বন্ধ। পরিকল্পনা করার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
আসন শ্রেণীর সীমাবদ্ধতা: শোভন চেয়ার (S_Chair) ছাড়া অন্য শ্রেণীর আসন সম্পর্কে তথ্য আপাতত পাওয়া যায়নি; তাই আরামের জন্য সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে।
সময়সূচী পরিবর্তন: রুট বা রেলওয়ের নীতি পরিবর্তনের কারণে সময়সূচী বদলে যেতে পারে, তাই যাত্রার আগে অফিসিয়াল সময় নিশ্চিত করা জরুরি।
পরিকল্পনার টিপস
যাত্রার দিন এবং সময় নিশ্চিত করার আগে ট্রেনের “অফ-ডে” (ছুটি দিন) খেয়াল রাখুন।
ই-টিকিট বা কাউন্টারে আগাম টিকিট সংগ্রহ করুন, বিশেষ করে জনপ্রিয় সময় (ছুটির দিন, রাতে) হলে।
স্টেশনে পৌঁছানোর জন্য সময়মতো রওনা দিন — যাতে ট্রেন ধরতে পারেন।
যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী (খাবার, পানি, হালকা ঝড়/বৃষ্টির জন্য কোট ইত্যাদি) সঙ্গে রাখুন, কারণ বিগত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী দীর্ঘ রুটে যাত্রা হওয়ায় হতে পারে।
বগুড়া থেকে বুড়িমারী রুটে ২০২৫ সালে যাত্রীদের জন্য ট্রেন যাত্রা একটি কার্যকর, সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য বিকল্প হিসেবে রয়েছে। Korotoa Express ও Burimari Express — উভয় ট্রেনই দিনে বা বিকেলে ছাড়ে এবং প্রায় ৫–৬.৫ ঘণ্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে। S_Chair শ্রেণীর টিকিট মূল্য ২৫৫ টাকা, যা সাধারণ মানুষের জন্য উপযোগী। তবে যেকোনো যাত্রার আগে অফিসিয়াল সময়সূচী ও ভাড়া যাচাই করা জরুরি — কারণ রেলের সময়সূচী বা নীতি পরিবর্তন হতে পারে। যদি আপনি চান, আমি ২০২৫ সালের জন্য বুগুড়া ↔ বুড়িমারী রুটের স্টেশন-স্টপেজ তালিকা এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল অনলাইন টিকিটিং লিংক সহ একটি সম্পূর্ণ গাইড তৈরি করতে পারি — যা যাত্রার জন্য আরও উপযোগী হবে।
