গাজীপুর থেকে ঢাকার রুটে ট্রেনে যাত্রা করা অনেক যাত্রীর জন্য অব্যাহত রুট। রাজধানীতে চলাচলের প্রবল যানজট ও সময়ের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় রেলপথ এক কার্যকর ও সাশ্রয়ী বিকল্প রয়েছে। ২০২৫ সালে এই রুটে চলাচলকারী ইন্টারসিটি ও মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর সময়সূচী, ভাড়া ও বুকিং সংক্রান্ত তথ্য নিচে বিশ্লেষণ করা হলো।
সময়সূচী ও রুটের তথ্য
এই রুটে সবচেয়ে সচল স্টেশন হলো জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন (গাজীপুর মেট্রো এলাকায়) থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন (ঢাকা) কিংবা আশপাশের স্টেশনে যাত্রা শুরু। ২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী কিছু জনপ্রিয় ট্রেনের সময়সূচী নিম্নরূপ:
| ট্রেনের নাম | যাত্রা শুরু (জয়দেবপুর) | গন্তব্য (ঢাকা) | আনুমানিক যাত্রাবেলা | বন্ধের দিন |
|---|---|---|---|---|
| Ekota Express | 06:50 AM | ≈ 07:50 AM | প্রায় ১ ঘণ্টা | |
| Jamuna Express | 06:14 AM | ≈ 07:30 AM | ~১ ঘন্টা ১৬ মি. | |
| Nilsagar Express | 04:24 AM | ≈ 05:30 AM | প্রায় ১ ঘণ্টা ৬ মি. | রবিবার |
| Silk City Express | 12:23 PM | ≈ 01:20 PM | প্রায় ৫৭ মি. | রবিবার |
উল্লেখ্য, রেলওয়ের সময়সূচী মাঝে মাঝে পরিবর্তিত হয়, তাই যাত্রার আগের দিন সংশ্লিষ্ট স্টেশন বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সময় নিশ্চিত করা জরুরি। সার্বিকভাবে এক ঘন্টারও কম সময়ে এই রুটে এসেছে বেশিরভাগ ইন্টারসিটি ট্রেন।
ভাড়া ও বুকিং নির্দেশিকা
২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, জয়দেবপুর থেকে ঢাকার রুটে ট্রেন ভাড়া তুলনায় সাশ্রয়ী—যা বাস বা অন্য রুটের যানবাহনের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে কম। সাধারণভাবে ভাড়া নিম্নরূপ:
সাধারণ শ্রেণি (শোভন) – প্রায় ৪৫ টাকা থেকে শুরু।
শোভন চেয়্যার (নন-এসি) – প্রায় ৫০ টাকা বা সামান্য বেশি।
স্নিগ্ধ/আনুষ্ঠানিক এসি সীট – প্রায় ১১৫–১২৫ টাকা।
এসি বার্থ বা প্রথম শ্রেণি সীট – প্রায় ১৫০ টাকা।
বুকিং নির্দেশিকা:
অনলাইন – বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে।
রেল স্টেশনে কাউন্টার – যাত্রার আগে কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পৌঁছানো ভালো।
অফ-ডে সাপেক্ষে ট্রেন পার্থক্য থাকতে পারে; বুকিং করার আগে যাচাই করুন।
যাত্রার আগে মনে রাখবেন
ট্রেনের নির্ধারিত সময় অংশকালের পরিবর্তন হতে পারে, তাই আগেভাগে যাচাই করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
স্টেশনে সময়মতো পৌঁছান – বিশেষ করে জনপ্রিয় ট্রেনে সিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে।
সীট ক্লাস অনুযায়ী ভাড়া পরিবর্তন হয়, আপনি যদি আরামদায়ক যাত্রা চান তবে স্নিগ্ধ বা এসি সীট বিবেচনা করুন।
ট্রেনে ভ্রমণের সময় পথচারী ও ট্রাফিক-জ্যাম এড়িয়ে যাওয়া যায়, ফলস্বরূপ যাত্রা দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য হয়।
ট্রেনে গাজীপুর থেকে ঢাকা যাত্রা মানেই সাশ্রয়ী, দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য পরিবহন। ২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী এই রুটের সময়সূচী ও ভাড়া অনেকেই সুবিধাজনক মনে করছেন। আপনি যদি নিয়মিত যাত্রা করেন তবে সময়সূচী ও ভাড়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা আপনাকে অনেক সুবিধা দেবে।
