ভৈরব টু চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া কত 2025

চট্টগ্রাম রুট বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল লাইন, এবং ভৈরব থেকে চট্টগ্রামের যাত্রা বেশ জনপ্রিয়। যাঁরা ভৈরব বা তার আশপাশে থাকেন, তারা যাতায়াতে রেল ব্যবহার করলে ট্রাফিক-ভঙ্গি ও সময়-বাধা অনেকটা এড়াতে পারেন। এর পাশাপাশি, ট্রেনে যাওয়া অনেকের কাছে আরামদায়ক ও বাজেটসম্পন্ন বিকল্প হিসেবে দাঁড়ায়। এই কারণে ভৈরব থেকে চট্টগ্রামের রুটে চলাচলরত ট্রেনের সময়সূচী ও টিকিটের দাম জানা যাত্রাপথ পরিকল্পনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই লক্ষ্যেই নিচে এই রুটের বিভিন্ন ট্রেন ও ভাড়া-সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হলো, যাতে আপনি আপনার যাত্রা আগে থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন।

সময়সূচী ও চলাচলরত ট্রেন-নামসমূহ

ভৈরব-চট্টগ্রাম রুটে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ট্রেন রয়েছে, যেগুলোর সময়সূচী নিম্নরূপ পাওয়া গেছে

উল্লেখযোগ্য ট্রেন সময়সূচী:

  • মহানগর প্রভাতী (Train 704): ভৈরব থেকে সকাল ৯:১৯টায় ছাড়ে, চট্টগ্রাম পৌঁছায় দুপুর ১:৩৫টায়।

  • মহানগর এক্সপ্রেস (Train 722): রিকর্ড অনুযায়ী রাত ২৩:০৩টায় ছাড়ে, পরবর্তী দিন বা উঠতি সময়ে চট্টগ্রামে পৌঁছায় সকাল ০৩:৩০টায়।

  • টুর্না এক্সপ্রেস (Train 742): দুপুর ১২:৫২টায় ছাড়ে ভৈরব থেকে, এবং রাত বা বিকেল সময় চট্টগ্রামে পৌঁছায় (প্রায় ০৫:১৫ ব্যাপী)।

  • বিজয় এক্সপ্রেস (Train 786): মঙ্গলবার বন্ধ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, রাত প্রায় ০০:৪২টায় ছাড়ে এবং প্রাতঃভ্রমণের সময় চট্টগ্রামে পৌঁছায় প্রায় ০৫:০০টায়।

  • চট্টলা এক্সপ্রেস (Train 802): শুক্রবার বন্ধ, বিকেল ১৫:৩৫টায় ছাড়ে এবং রাত ২০:১০টায় পৌঁছায়।

এইগুলোর মাধ্যমে দেখা যায় যাত্রা সময় সাধারণত প্রায় ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে হয়ে থাকে, রুট ও ট্রেন ধরন অনুযায়ী বিভিন্নতা রয়েছে। ভ্রমণের সময় আপনার সুবিধামত সময় বেছে নেওয়া ভালো।

টিকিটের দাম এবং আসনের শ্রেণী

ট্রেনে যাত্রার আগে টিকিটের ভাড়া জানা থাকলে বাজেট পরিকল্পনায় সহায়ক হয়। এই রুটে সময়সূচী অনুযায়ী দাম বেশ কয়েকটি শিরোণীতে দেওয়া হয়েছে।

নির্ধারিত আসন শ্রেণী অনুযায়ী টিকেটের ভাড়া প্রায় (বাংলাদেশী টাকা):

  • শোভন চেয়ার (Shuvon Chair): প্রায় ৩১০ টাকা।

  • প্রথম আসন (First Seat): প্রায় ৪৭২ টাকা।

  • স্নিগ্ধা (Snigdha): প্রায় ৫৮৭ টাকা।

  • এসি (AC Seat): প্রায় ৭০৮ টাকা।

  • এসি বার্থ (AC Berth): প্রায় ১০৫৮ টাকা।

এই ভাড়া গুলো সাধারণত ইন্টারসিটি ট্রেনের জন্য। ট্রেন ধরন, রুট, স্টপেজ, সময় ও সুবিধা অনুযায়ী ভাড়ায় ওঠানামা থাকতে পারে। যাত্রার আগে রেলওয়ের অফিসিয়াল তথ্য বা ই-টিকিট সাইট থেকে যাচাই করা বাঞ্ছনীয়।

সুবিধা, সতর্কতা ও যাত্রার আগে করণীয়

এই অংশে আমি যাত্রার সময় সুবিধা-অসুবিধা এবং কিছু জরুরি টিপস তুলে ধরছি।

সুবিধা

এই রুটে কয়েকটি সুবিধাজনক বিষয় রয়েছে— প্রথমত, ভৈরব থেকে চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যে ট্রেনের মাধ্যম থেকে যাতায়াত তুলনায় সহজ ও সময়সাশ্রয়ী হতে পারে। দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন শ্রেণীর টিকিট রয়েছে, যা বাজেট অনুসারে নির্বাচন করা সম্ভব। তৃতীয়ত, ইন্টারসিটি ট্রেনগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত আধুনিক আসন, ভালো পরিবহন সুবিধা পাওয়া যায়।

সতর্কতা

  • সময়সূচীতে হঠাৎ পরিবর্তন হতে পারে, যেমন সাপ্তাহিক বন্ধ দিন বা রেলওয়ের রুটিন পরিবর্তন। উদাহরণস্বরূপ, বিজয় এক্সপ্রেস মঙ্গলবার বন্ধ রয়েছে।

  • যাত্রার সময় আগাম টিকেট না থাকলে সিট বা বার্থ পাওয়া কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে উৎসব বা ছুটির দিনে।

  • ট্রেনে ভ্রমণের সময় নিজের সুনামি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করুন—যেমন মূল্যবান জিনিস রাখা, স্টেশনে সময়মতো উপস্থিত থাকা ইত্যাদি।

যাত্রার আগে করণীয়

  • যাত্রার তারিখে আপনার ট্রেনটি চলবে কিনা, ছুটি আছে কিনা তা আগে চেক করুন।

  • রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা ই-টিকিট প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট বুক করতে পারেন।

  • স্টেশনে পৌঁছানোর জন্য বাস বা সিএনজি-যান ভাগ করে পরিকল্পনা করুন যাতে ট্রেন ধরতে দেরি না হয়।

  • প্রয়োজনে যাত্রার সময় মনে রাখুন, বিশেষ করে রাত বা মাঝরাতে রওনাকালে স্টেশনে নিরাপত্তা পরিকল্পনা ভালোভাবে করুন।

ভৈরব থেকে চট্টগ্রামের রুটে এখনো রেলযাত্রা একটি কার্যকর, আরামদায়ক ও তুলনায় সাশ্রয়ী বিকল্প হিসেবে রয়েছে। সময়সূচী ও টিকিটের ভাড়া উপরের তথ্য অনুযায়ী ভালোভাবে জানা থাকলে আপনিও নির্ভয়ে যাত্রা পরিকল্পনা করতে পারবেন। তবে যাত্রার দিন-সময় ও ট্রেনের ধরন অনুযায়ী রুটিন ও ভাড়া পরিবর্তন হতে পারে — তাই রিজার্ভেশন বা রওনা হওয়ার আগে অবশ্যই অফিসিয়াল উৎস যাচাই করে নেওয়া জরুরি। ভালো যাত্রা হবে—আপনাকে শুভকামনা!

Leave a Comment