ঢাকা রাজধানী থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন ভৈরব বাজার (Bhairab Bazar) পর্যন্ত রেল যোগাযোগ অনেক যাত্রীর জন্য প্রতিদিনের যাতায়াত। ব্যস্ত ঢাকা-ভৈরব রুটে ট্রেনে যাওয়া বাস বা সড়ক যাত্রার তুলনায় সময় সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য বিকল্প হিসেবে বিবেচিত। ২০২৫ সালে এই রুটে সময়সূচী ও টিকিট মূল্যে কিছু পরিবর্তন এসেছে বলে পাওয়া তথ্য রয়েছে। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ঢাকা থেকে ভৈরব রুটের ট্রেন সময়সূচী, টিকিট ভাড়া ও যাত্রার আগে যা জানা উচিত।
ঢাকা থেকে ভৈরব ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
অনলাইন অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা থেকে ভৈরব রুটে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলছে। যেমন —
মহানগর এক্সপ্রেস (Train No. 722)-র মতে ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় ~ রাত ৯:২০ টায় এবং ভৈরবে পৌঁছার সময় ~ রাত ১১:০০ টায়।
পারাবত এক্সপ্রেস (Train No. 709)-র মতে ঢাকা থেকে ~ সকাল ৬:৩০ টায় রওনা দেয় এবং ~৮:০০টার দিকে ভৈরবে পৌঁছায়।
অন্যান্য সময় (সকাল-বিকেল) ট্রেন রয়েছে যেগুলো ঢাকা ছাড়ে ভৌগোলিকভাবে ভৈরবের উদ্দেশ্যে।
এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে এই রুটে যাত্রীদের জন্য সকাল, দুপুর ও রাত—বিভিন্ন সময়ের সার্ভিস রয়েছে। তবে শিডিউল মাঝে মাঝে পরিবর্তিত হতে পারে — তাই যাত্রার আগে স্টেশন বা রেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা থেকে ভৈরব ট্রেনের টিকিট ভাড়া তালিকা ২০২৫
টিকিট মূল্যে আসন শ্রেণি ও ট্রেন ধরন অনুযায়ী ভিন্নতা দেখা যায়। অনলাইন তথ্যে ঢাকা→ভৈরব রুটের টিকিট মূল্যের কিছু উদাহরণ রয়েছে —
শোভন (Shovon): ~ ৮৫ টাকা
শোভন চেয়ার (Shovon Chair): ~ ১০৫ টাকা
প্রথম আসন (First Seat): ~ ১৫৬ টাকা
এসি সিট / উন্নত আসন: ~ ২৬৩ টাকা
উল্লেখ্য — এই ভাড়া-তালিকা পুরনো তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এবং ২০২৫-এ পরিবর্তন হয়েছে এমন সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যাত্রার আগে রেলের অফিসিয়াল কাউন্টার বা ই-টিকিটিং প্ল্যাটফর্মে বর্তমান মূল্য যাচাই করাই ভালো।
যাত্রার নির্দেশিকা ও যাত্রী টিপস
স্টেশনে সময়মতো পৌঁছান
ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে উপস্থিত হওয়া ভালো — যাতে প্ল্যাটফর্ম খুঁজে পাওয়া, সিট নিশ্চিত করা ও লাগেজ রাখার ব্যবস্থা হয়।
আসন শ্রেণি ও সার্ভিস বেছে নিন
আপনি যদি আরামদায়ক যাত্রা চান, তাহলে উন্নত শ্রেণির আসন নির্বাচন করুন। বাজেট কম হলে সাধারণ শোভন বা শোভন চেয়ার যথেষ্ট হবে।
টিকিট ও নিরাপত্তা
অনলাইন বা কাউন্টার থেকে টিকিট কিনে নাম ও তারিখ সঠিক রয়েছে কিনা যাচাই করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখুন। লাগেজ ও মূল্যবান সামগ্রী নিজের নজরে রাখুন।
সময়সূচী যাচাই করুন
রেল সময়সূচী মাঝে মাঝে পরিবর্তিত হয় — স্টপেজ, ট্রেন নম্বর বা ছাড়ার সময় পরিবর্তন হতে পারে। যাত্রার এক-দুই দিন আগে রেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বা স্টেশনে যাচাই করুন।
লাগেজ ও রুট অভিজ্ঞতা
ঢাকা থেকে ভৈরব রুটে ওঠানামার সময় বেশ কিছু স্টপেজ থাকতে পারে — তাই নিজের লাগেজ নিজে নজরে রাখুন। যেমন: ঢাকা → নরসিংদী → মেথিকান্দা → ভৈরব।
২০২৫ সালে ঢাকা থেকে ভৈরব রুটে ট্রেনে যাত্রা সাশ্রয়ী ও কার্যকর বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নির্ধারিত সময়সূচী ও কম খরচের টিকিট এই রুটকে যাত্রীদের জন্য সহজ করে তুলেছে। তবে সর্বদা মনে রাখুন—যাত্রার আগে অফিসিয়াল রেলওয়ের তথ্য যাচাই করা জরুরি। নিরাপদ, আরামদায়ক ও স্মরণীয় যাত্রার শুভকামনা রইল!
