বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে ভৈরব (ভৈরব বাজার / ভৈরব জংশন) ও কিশোরগঞ্জের মধ্যে যাতায়াত একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। যেসব যাত্রী ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ, বাজিতপুর, ইটনা ইত্যাদি গন্তব্যে যেতে চান, তাদের জন্য ট্রেন একটি সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক মাধ্যম। যদিও এই রুটে অনেকেই বাস বা স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করেন, ট্রেনের সুবিধা হচ্ছে আরো নির্ভরযোগ্য সময়সূচী, সাশ্রয়ী ভাড়া ও অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক যাত্রা। এখানে ২০২৫ সালের জন্য সম্ভাব্য সময়সূচী ও ভাড়া নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ভৈরব → কিশোরগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫
অনলাইন তথ্যসূত্র অনুযায়ী ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জে বর্তমানে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু আছে।
নিম্নে সময়সূচীর কিছু নমুনা দেওয়া হলো:
| ট্রেন নাম | ছাড়ার সময় (ভৈরব থেকে) | পৌঁছানোর সময় (কিশোরগঞ্জ) | মন্তব্য |
|---|---|---|---|
| Egarosindhur Provati | 09:13 AM | 11:10 AM | দ্রুতগামী স্তর |
| Egarosindhur Godhuli | 20:50 PM | 22:40 PM | সন্ধ্যার দিকে ট্রেন |
এসব ট্রেন প্রতিদিন চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কখনো কখনো ছুটির দিন বা রক্ষণাবেক্ষণের কারণে সময়সূচীতে পার্থক্য দেখা দিতে পারে।
ভাড়া তথ্য ও আসন শ্রেণি
ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ রুটে ট্রেন যাত্রার ভাড়া আসন শ্রেণি অনুযায়ী বিভিন্ন হবে। ২০২৪ সালের একটি উৎস অনুযায়ী নিম্নলিখিত ভাড়া তালিকা পাওয়া গেছে
প্রথম আসন (First Class): ~ ৯০ টাকা
প্রথম বার্থ (First Berth): ~ ১১৫ টাকা
স্নিগ্ধা (AC Seat): ~ ১১৫ টাকা
AC বার্থ: ~ ২০২ টাকা
২০২৫ সালে মূল্য কিছুটা বাড়তে পারে, তবে সাধারণত এই রকম ধরনের প্রশস্ততা বজায় রাখার প্রবণতা থাকে।
যাত্রীদের জন্য পরামর্শ ও নির্দেশিকা
ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ রুটে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখুন:
টিকিট বুকিং আগে করুন
জনপ্রিয় সময় বা ছুটির দিনে টিকিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে। তাই আগেভাগে রেল স্টেশনে অথবা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করুন।সময়সূচী নিশ্চিত করুন
ট্রেনের সময়সূচী মাঝে মাঝে পরিবর্তিত হতে পারে। যাত্রার দিনের সকালে রেলওয়ের অফিসিয়াল জানাতে বা স্টেশনে চেক করুন।যাত্রার সুবিধা বিবেচনা করুন
দীর্ঘ যাত্রার ক্ষেত্রে স্নিগ্ধা বা প্রথম শ্রেণির আসন নেওয়া ভালো। কোমল আসনে যাত্রা করলে বিশ্রাম কম হতে পারে।মালপত্র সুরক্ষিত রাখুন
ট্রেনে লাগেজ ও ব্যাগ ভালভাবে রাখুন এবং নজর রাখুন।
ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ রুটে ট্রেন যাত্রীদের জন্য একটি কার্যকরী এবং সাশ্রয়ী বিকল্প হতে পারে। ২০২৫ সালের সম্ভাব্য সময়সূচী ও ভাড়া জানা থাকলে যাত্রাপথের পরিকল্পনা সহজ হবে। যদিও তথ্য উৎস কিছুটা পুরনো, তবে এটি একটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। যাত্রা শুরুর আগে রেলওয়ের অফিসিয়াল সময়সূচী এবং ভাড়া যাচাই করে নিন। সুষ্ঠুভাবে যাত্রা করুন এবং নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছান।